‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাজীপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা ও ময়মনসিংহে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়েছে।
Advertisement
এই দুই মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত আবেদন করা হয়েছে বলে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) আইনজীবী আশরাফ আলী মোল্লা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা (আইসিটি অ্যাক্ট) আইনে গাজীপুরের বাসন থানায় দায়ের করা মামলায় ও ময়মনসিংহে করা নাশকতার একটি মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার জামিনের আবেদন করা হয়েছে। আরেকটি করা হয়েছে তারও আগে গত আগস্ট মাসে।রফিকুল ইসলাম মাদানী এখন কামিশপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে তাকে কাশিমপুরে পাঠানো হয়।
তারও আগে গত ২১ এপ্রিল গাজীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন্নাহার রফিকুল ইসলাম মাদানীর রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাকে আদালতের নির্দেশে বাসন থানার একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। রিমান্ড শেষে মাদানীকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
Advertisement
গত ৭ এপ্রিল ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তিনি ফোনের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বরে দাবি করেছে র্যাব।
সেই রাতেই গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়। তারপর র্যাবের ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত ২০ এপ্রিল মাদানীকে জিএমপির গাছা থানা পুলিশ দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
এছাড়া গত ২৮ মার্চ হেফাজতের হরতালের নামে নাশকতায় ময়মনসিংহ নগরীর চড়পাড়া মোড়ে পুলিশ বক্স ভাঙচুর, বাসে আগুন এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ রফিকুল ইসলাম মাদানীর সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এফএইচ/এমআরআর/জেআইএম
Advertisement