আটদিন ধরে জ্বর ১৩ মাস বয়সী ফাহিমের। ঠান্ডা, কাশির সঙ্গে আছে শ্বাসকষ্টও। ফাহিমের বাবা জানান, তাকে নাপা সিরাপ খাওয়ানো হয়েছে। সঙ্গে শরীরে তেলও মালিশ করা হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা শেষে রিলিজের অপেক্ষায় ফাহিম। আবহাওয়ার খেয়ালি আচরণের কারণে ঠান্ডা-কাশির সঙ্গে জ্বরের মতো মৌসুমি রোগের প্রকোপ বাড়ছে রাজধানীতে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও আউটডোরে রোগীর ভিড় দেখা যায়। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশিরভাগ রোগীই জ্বর, ঠান্ডার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিনই ৯-১০ জন রোগী নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিজওয়ানুল ইসলাম জানান, দুই সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা, কাশি, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে।
Advertisement
প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছর যখন এসময়ে ঋতুর পালাবদল ঘটে তখন এ ধরনের রোগ বেড়ে যায়। এটাকে আমরা ফ্লু বলি। বাংলাদেশে এখন করোনা মহামারি চলছে, সঙ্গে ডেঙ্গুও রয়েছে। এর মধ্যে ফ্লু নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, এবারের ফ্লুকে ভিন্নভাবে দেখতে হচ্ছে। যদি রোগীর জ্বর থাকে তাহলে তাকে যেন ডেঙ্গু ও করোনা পরীক্ষা করানো হয় আমরা সেই পরামর্শ দিচ্ছি। যদি ডেঙ্গু বা করোনার না হয় তাহলেই শুধু ফ্লুয়ের চিকিৎসা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জ্বরকে অবহেলা না করে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। সিজিওনাল ফ্লুতে দুটো প্রান্তিক বয়সের মানুষ বা শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ভোগে। আবার যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদেরও সমস্যা দেখা দেয়। শিশুরা যেহেতু বেশি সংবেদনশীল তাদের রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতাও অপূর্ণাঙ্গ, এ কারণে তারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এসএম/এআরএ/এএসএম
Advertisement