হিনা খানের নাম শুনতেই চোখের সামনে ফুটে ওঠে উজ্জ্বল চেহারা ও মেদহীন গড়নের এক নায়িকার মুখশ্রী। স্টার প্লাসের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা’য় অভিনয়ের পর থেকে তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
Advertisement
টেলি তারকা হিনা খান শুধু তার অভিনয় দিয়েই নয় বরং গ্ল্যামারাস, স্টাইল ও ফিটনেসের জন্যও সবার নজর কাড়েন। সম্প্রতি এই নায়িকা ‘বারিশ বান জানা’ মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।
হিনা খান কীভাবে ও কোন ডায়েট মেনে শরীর মেদহীন রেখেছেন? এ প্রশ্ন তার ভক্তকূলের মনে। অভিনয় ছাড়াও হিনা তার ফিটনেসের জন্যও অনেক কসরত করেন। এবার তিনি নিজেই অনুরাগীদেরকে ফিটনেস রহস্য জানিয়েছেন।
লেবু পানিতে দিন শুরু
Advertisement
হিনা তার দিন শুরু করেন এক গ্লাস হালকা গরম পানি ও লেবুর রস দিয়ে। এটি চায়ের মতো করে পান করেন তিনি। এছাড়াও দিনে দু’বার ডাবের পানি খান।
ডাবের পানিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্সের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ থাকে। এর সঙ্গে ফাইবারও থাকে। যা খেলে আপনার পেট দীর্ঘ সময় ভরা থাকে।
যেসব ব্যায়াম করেন হিনা
হিনা সপ্তাহের ৬ দিনই ব্যায়াম করেন। তিনি ওয়ার্কআউট ও ডায়েটের প্রতি বিশেষ মনোযোগী। এক সাক্ষাৎকারে নায়িকা জানান, ব্যস্ত থাকলেও তিনি কখনও ওয়ার্কআউট এড়িয়ে যান না।
Advertisement
পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করেন। সপ্তাহে ৬ দিন অন্তত ১ ঘণ্টা করে জিমে কসরত করেন হিনা খান।
প্রতিদিনের শরীরচর্চায় হিনা খান ওজন উত্তোলন, কার্যকরী প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কিছু কিকবক্সিং ও টিআরএক্স অনুশীলন করেন। এই ওয়ার্কআউটের মাধ্যমে হিনা তার পেট, পিঠ, কাঁধ ও বাইসেপের দিকে মনোনিবেশ করেন।
হিনার ডায়েট
শরীরচর্চার পাশাপাশি হিনা খান কঠোর ডায়েট মানে। কম কার্ব ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে আনলে বিপাক ক্রিয়ার হার বাড়ে। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
হিনার খাদ্যতালিকায় সবজির রস ও ফল বেশি থাকে। এর মাধ্যমেই হিনা নিজেকে সারাদিন আর্দ্র রাখেন। তিনি কখনও ডায়েটে টকদই এড়িয়ে যান না।
সকালের নাস্তায় সবজির রসের সঙ্গে ২ টি কলা, কর্নফ্লেক্স ও পনির অমলেট রাখেন হিনা খান। দিনে অন্তত ১২ গ্লাস পানি পান করেন হিনা খান। তিন বলেন, ‘আমি নিরামিষ ও অনিরামিষ উভয় খাবারই খাই। তবে অতিরিক্ত কোনো খাবারই খাই না।’
সূত্র: বলিউড শাদি’স
জেএমএস/এমএস