দেশব্যাপী পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে বন্ধ রয়েছে ডেলিভারি কার্যক্রম। এতে করে বন্দরের ভেতরে পণ্যজটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া চট্টগ্রাম নগরের সল্টঘোলা ক্রসিং, ফকির হাট ও বন্দরের আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত পিকেটিং করেছে ধর্মঘট আহ্বানকারীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পিকেটারদের সরিয়ে দেয়।
১৫ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। চলবে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত। ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক, প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন।
ধর্মঘটের ফলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে কমে যায় পণ্যবাহী যান চলাচল। একই সময়ে দেশের প্রায় ৯২ ভাগ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম বন্দরে ভোর ৬টা থেকে বন্ধ রয়েছে ডেলিভারি কার্যক্রম। এসময়ের মধ্যে বন্দরে পণ্যবাহী কোনো যান প্রবেশ কিংবা বের হয়নি।
Advertisement
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ধর্মঘটের কারণে বন্দরে পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে বন্দরের বাকি কার্যক্রম। জাহাজে মালামাল লোড-আনলোড স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হলে ডেলিভারি কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিঙ্গাপুর-কলম্বোসহ ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোর অচলাবস্থা সত্ত্বেও পরিকল্পিত পদক্ষেপে এ বছরের মধ্যে আগস্ট মাসেই চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সবচেয়ে বেশি সচল ছিল। এ মাসে প্রায় অর্ধেকের মতো জাহাজ দিনে দিনে হ্যান্ডলিং করেছে বন্দর। এছাড়াও বাকি জাহাজ এক-দুইদিনের মধ্যে হ্যান্ডলিং করা হয়। দ্রুত ধর্মঘট সমাধান না হলে বন্দরের এমন গতিতে ছন্দপতন হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে নগর দক্ষিণ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) মহিউদ্দিন খান জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে অন্যান্য যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও পণ্যবাহী যান কম চলাচল করছে। ধর্মঘট আহ্বানকারীরা বিক্ষিপ্তভাবে পিকেটিংয়ের চেষ্টা করেছিল। তবে পুলিশি তৎপরতায় তা সম্ভব হয়নি।
মিজানুর রহমান/জেডএইচ/এএসএম
Advertisement