ভারতে যাওয়ার শর্ত শিথিল করায় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে বেড়েছে যাত্রী পারাপার।
Advertisement
জানা যায়, বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। পরে শুধু চিকিৎসার জন্য বিশেষ অনুমোদন নিয়ে যাত্রীরা ভারত যেতে পারবে বলে অনুমোদন দেয় দুই দেশের সরকার। কিছুদিন পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অনুমোদন নিয়ে মেডিকেল ভিসা এবং বাণিজ্যিক ভিসার অনুমোদন দেওয়া হয়। এত শর্ত নিয়ে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। তারপর থেকেই ভারতে যাওয়া ও ভারত থেকে আসা যাত্রীর সংখ্যা কমে যায়। করোনার পুরো সময়ে সব মিলিয়ে প্রতিদিন এইস্থলবন্দর দিয়ে চলাচল করতেন মাত্র ২০০ এর কাছাকাছি যাত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি এসব শর্ত শিথিল হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে ভারত ও বাংলাদেশ থেকে ৬৮৩৪ জন যাত্রী আসা-যাওয়া করেছেন। এর মধ্যে ১৩ সেপ্টেম্বর ৬২৯ জন, ১৪ সেপ্টেম্বর ৮৪৫ জন, ১৫ সেপ্টেম্বর ৫২৯ জন, ১৬ সেপ্টেম্বর ১২২৪ জন, ১৭ সেপ্টেম্বর ১২২৭ জন, ১৮ সেপ্টেম্বর ১২০২ জন ও ১৯ সেপ্টেম্বর ১১৭৮ জন ভারতীয় ও বাংলাদেশি যাত্রী যাতায়াত করেছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, দুদেশের শর্ত শিথিল এবং করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব তুলনামূলক কম হওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। ট্যুরিস্ট ভিসা উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে দুই দেশ থেকে আসা যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা আগের মতো হবে। এতে সরকারের রাজস্বও অনেক বৃদ্ধি পাবে।
Advertisement
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ভারত ও বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা, ব্যবসা, চাকরি ও স্টুডেন্ট ভিসার পাশাপাশি ট্যুরিস্ট ফ্যামিলি (টিএফ) ভিসার যাত্রীও চলাচল করছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন উঠে যাওয়ার পর ভারতে যাত্রী যাওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তবে দুই দেশ থেকেই পাসপোর্টধারী যাত্রীদের দেখাতে করোনা নেগেটিভের সনদ।
মো. জামাল হোসেন/এফআরএম/এমএস
Advertisement