স্বাস্থ্য

বিএসএমএমইউ করোনা সেন্টারে সেবা নিয়েছেন ১৩২২৫ রোগী

গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকের করোনা সেন্টারে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ১৩ হাজার ২২৫ জন।

Advertisement

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিএসএমএমইউয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।

বিএসএমএমইউয়ের তথ্যমতে, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে বিএসএমএমইউয়ে ভর্তি হয়েছেন ৬ হাজার ৭৯০ জন। চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ হাজার ৭২৯ জন। বর্তমানে করোনা সেন্টারে ভর্তি আছেন ৬৫ জন। এছাড়া হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন ১২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৬ জন।

অন্যদিকে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কোভিড ফিল্ড হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৬৪৮ জন চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন এবং সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৩৪৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬৪ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৪২ জন রোগী।

Advertisement

বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে রোববার (১৯ সেপ্টম্বর) পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজার ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে ১ লাখ ১৮ হাজার ২৫৩ জন রোগী সেবা নিয়েছেন।

এছাড়া বিএসএমএমইউ ডক্টরস ডরমিটরিতে রোববার ১ হাজার ৪ জনসহ সিনোফার্মের প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ১৯ হাজার ৩৭৫ জন। গত ৭ সেপ্টেম্বর দুইজনসহ ফাইজারের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৬ জন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর তিনজনসহ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৪৯ হাজার ৪৯১ জন এবং গত ২৯ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৩৫ হাজার ২৭৫ জন প্রথম ডোজ মডার্নার টিকা নিয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না ও সিনোফার্মসহ মোট এক লাখ ১৪ হাজার ৭৭৭ জন প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন।

১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৮ হাজার ৮৭৬ জন। গত ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন আট হাজার ৩৭৯ জন। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩১ হাজার ১৭ জন। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিনোফার্মের ভেরোসেলের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন তিন হাজার ৬৪৬ জন। মোট ৯২ হাজার আটজনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত সম্মুখসারির চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহস ও মনোবল বাড়ানোর জন্য নিয়মিত ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

এমইউ/এমএএইচ/বিএ/এএসএম