বাজারে তেল, চিনি, ডালের দাম বেশি। এসব পণ্য সাশ্রয়ী দামে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির ট্রাকসেলে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি মিলছে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ, যা বাজারের তুলনায় কেজিপ্রতি প্রায় ১০ টাকা কম। এসব কারণে টিসিবির পণ্যে সাধারণ মানুষের আগ্রহ আরও বাড়ছে।
Advertisement
আগে টিসিবির ট্রাকে শুধু তেল, চিনি ও ডাল বিক্রি হতো। গতকাল রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে টিসিবির ট্রাকে পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি পেয়াজ কিনতে পারছেন। সঙ্গে ১০০ টাকা দরে দুই কেজি করে তেল ও ৫০ টাকা দরে চিনি ও ডাল পাচ্ছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় অনেক মানুষ লাইন ধরে টিসিবির পণ্য কিনছেন। অনেকে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কিনছেন পণ্য।
দুপুর ১২টায় মগবাজারের ওয়ারলেস এলাকায় টিসিবির পণ্য কিনতে প্রায় দেড় শতাধিক লোকের লাইন দেখা যায়। সেখানে ফরিদা বেগম নামের একজন বলেন, সরকার কম দামে পণ্য দিচ্ছে বলে আমরা অনেক উপকৃত হচ্ছি। বাজারে এক কেজি চিনির দাম ৮০ টাকা, এখানে ৫০। একইভাবে তেল, পেঁয়াজ ও ডালের দাম বাজারের চেয়ে অনেক কম।
Advertisement
যদিও এ দফায় গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কমানো হয়েছে ট্রাকপ্রতি পণ্যের বরাদ্দ। এতে আগের থেকে কম মানুষ পণ্য কিনতে পারছেন।
ডিলাররা জানিয়েছেন, আগে ট্রাকপ্রতি এক হাজার লিটার থেকে ১২শ লিটার তেল বরাদ্দ দেওয়া হলেও এখন দেয়া হচ্ছে মাত্র ৫০০ লিটার। একইভাবে চিনি দেওয়া হচ্ছে ৫০০ কেজি। ডাল আর পেঁয়াজের বরাদ্দ মাত্র ৩০০ কেজি।
মগবাজারের ট্রাক সেলে ডিলারের প্রতিনিধি রুবেল হাসান বলেন, ১৫০ থেকে ২০০ জনকে পণ্য দিতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। বরাদ্দ আরও বাড়ালে অনেক মানুষ কিনতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে প্রতিদিনই বরাদ্দ একটু একটু করে কমে যাচ্ছে।
সারাদেশেই টিসিবির ৪০০ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৮০টি ও চট্টগ্রাম সিটিতে ২০টি ট্রাক রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মহানগর ও জেলা শহরেও ট্রাক সেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
Advertisement
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, মানুষের সুবিধা বাড়াতে নতুন করে পেঁয়াজ যুক্ত করা হয়েছে। গাড়িপ্রতি ৩০০ কেজি করে পেঁয়াজ বরাদ্দ থাকবে সারাদেশে।
তিনি বলেন, গত দুই বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করার পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে সেপ্টেম্বর মাসে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। এতে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
এনএইচ/ইএ/এএসএম