অস্ত্র আইনে করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলের ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় দণ্ডপ্রাপ্ত মালেক বলেছেন, আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন আমার কাছে কিছু পায়নি। এরপর আমাকে নিয়ে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হলো। আজ আমাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হলো। মিথ্যা মামলায় আমাকে সাজা ভোগ করতে হচ্ছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে অস্ত্র আইনের এক ধারায় ১৫ বছর ও আরেক ধারায় আসামিকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে দুটি ধারাতেই সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
Advertisement
এদিন রায় ঘিরে কারাগার থেকে আসামি মালেককে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। আলোচিত এ মামলায় ১৩ সাক্ষীর মধ্যে সবার সাক্ষ্য নিয়ে এ রায় দিলেন আদালত।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেককে গ্রেফতার করে র্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।
Advertisement
এরপর গত ১১ জানুয়ারি অস্ত্র আইনের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী ১৩ জনকে সাক্ষী করে মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। গত ৪ এপ্রিল মালেকের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আদালত অভিযোগ গঠন করলে শুরু হয় বিচারকাজ।
জেএ/এমকেআর/জিকেএস