জাতীয়

প্রতি মাসে ২ কোটি টিকা দিতে চায় সরকার

ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এক কোটি ডোজসহ প্রতি মাসে প্রায় দুই কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টিকাদান পরিকল্পনা নিয়ে ফেসবুক লাইভে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সময় মতো টিকা সংগ্রহ করতে পেরেছি। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সব সময় পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মজুত রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে পর্যাপ্ত টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছি।’

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, এ লক্ষ্যে টিকাদান কর্মসূচিকে কীভাবে বাড়ানো যায় এ ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট আছি। এরই মধ্যে স্কুল-কলেজগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। আগে স্কুলগুলোতে টিকাদানের বড় ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে সে ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

Advertisement

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি উপজেলা অডিটরিয়াম ও উপজেলার কোনো বড় হলরুমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করব। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত টিকাদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহকারীদের মাধ্যমে ইউনিয়ন সাব-সেন্টার ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকাদান করা হবে। সপ্তাহে দুই দিন (যেদিন নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি থাকবে না) এসব স্থানে করোনা টিকা দেওয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা করোনা টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে ইউনিয়ন প্রতি একটি ইউনিয়ন সাব-সেন্টার, ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র নির্বাচন করবেন।

ওই এলাকার বাসিন্দারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেন এবং মোবাইলে এসএমএস প্রাপ্তি সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নেবেন। আইসিটি বিভাগ ইউনিয়নের নাম উল্লেখ করে মোবাইলে মেসেজ দেবে।

‌এছাড়া সপ্তাহে একদিন ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের (নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত) স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকাদান করা হবে। টিকাদানের ক্ষেত্রে ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে কারণ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অধিক বয়স্করাই করোনা সংক্রমিত বেশি হচ্ছেন এবং তাদের মৃত্যুহার বেশি।

Advertisement

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক আরও জানান, শিশুদের করোনা টিকাদানের বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। এ ব্যাপারটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। কীভাবে দ্রুততম সময়ে শিশুদের টিকাদানের ব্যবস্থা করা যায় সে লক্ষ্যে কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকাশক্তি প্রবাসী কর্মীরা। প্রবাসী কর্মী ও শিক্ষার্থীসহ বিদেশগামীদের জন্য সুনির্দিষ্ট টিকাদানের লক্ষ্যে টিকার সংগ্রহ ও টিকাদান কার্যক্রম চলছে।

এমইউ/এমএইচআর/জেআইএম