দেশজুড়ে

টয়লেটে ১০ ঘণ্টা বাকপ্রতিবন্ধী: আয়া-নৈশপ্রহরী বরখাস্ত

চাঁদপুরের শাহরাস্তি হোসেনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাক প্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থীর ১০ ঘণ্টা টয়েলেট আটকা পড়ার ঘটনায় দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমীর হোসেনকে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ চৌধুরী।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুজন হলেন- বিদ্যালয়ের আয়া শাহানাজ আক্তার শানু ও নৈশ প্রহরী কবির হোসেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ছুটির ঠিক আগ মুহূর্তে বিদ্যালয়ের টয়লেটে যান বাক প্রতিবন্ধী ওই ছাত্রী। এ সময় হঠাৎ ছুটির ঘণ্টা বেজে গেলে বিদ্যালয়ের সবাই বাড়ি চলে যায়। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের আয়া শাহানারা বেগম টয়লেটে তালা লাগিয়ে দেন। সবার অজান্তে টয়লেটে আটকা পড়ে যায় ওই শিশু। রাত দশটা পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ের টয়লেটেই আটকা পড়ে থাকে সে।

Advertisement

পরে পার্শ্ববর্তী স্বর্ণকার পাড়ার আল আমিন বিদ্যালয়টির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনের আলোর মাধ্যমে টয়লেটের ভেন্টিলেটরে একটি হাত দেখতে পান। সে ভয় পেয়ে তাৎক্ষণিক কয়েকজনকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে টয়লেটের তালা ভেঙে ওই ছাত্রীকে টয়লেট থেকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় সরেজমিনে শনিবার সকালে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ চৌধুরী। পরিদর্শন শেষে দায়িত্বে অবহেলার কারণে আয়া ও নৈশ প্রহরীকে সাময়িক বরখাস্ত করেন তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, সকালে আমরা বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের আয়ার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া নৈশ প্রহরীকে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু রাত ১০টা পর্যন্ত সে বিষয়টি জানতে পারেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে আমাকে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টির আরও গভীর তদন্ত চলছে।

Advertisement

নজরুল ইসলাম আতিক/এসজে/জেআইএম