‘ফেসবুক ও পাঠ্যসূচির গণ্ডিতে আর নই, চর্যাপদের সঙ্গে থেকে পড়ব সকল বই’ স্লোগানে পালিত হলো চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির বই উপহার কর্মসূচি। ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর শহরের ক্লাউটস ভবনে ফিতা কেটে বই উপহার কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অজয় কুমার ভৌমিক।
Advertisement
উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মানুষকে শুদ্ধ পথে পরিচালনা করে বই। বইয়ের চেয়ে বড় কোনো উপহার হতে পারে না। পৃথিবীর এই কঠিনতম মুহূর্তে মানুষের হাতে বই উপহার তুলে দিয়ে সমাজকে আলোর পথে টেনে আনতে চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি যে ভূমিকা পালন করছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। পাঠ্যপুস্তকের বাইরের জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এমন চমৎকার উদ্যোগ নেওয়ায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।’
একাডেমির সভাপতি নুরুন্নাহার মুন্নির সভাপতিত্বে ও মহাপরিচালক রফিকুজ্জামান রণির সঞ্চালনায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে অর্ধশতাধিক কাব প্রশিক্ষণার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবককে বই উপহার দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী সাধন সরকার, জেলা কাব লিডার মেহেদী মাসুদ, চর্যাপদ একাডেমির সহ-সভাপতি আয়েশা আক্তার রুপা, প্রতিষ্ঠাকালীন নিয়ন্ত্রণ পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল্লা কাহাফ, সহযোগী পরিচালক জয়ন্তী ভৌমিক, নির্বাহী পরিচালক আইরিন সুলতানা লিমা, অর্থ অডিটর আমিন উদ্দিন এবং আর্কাইভ ও নথিব্যবস্থাপনা পরিচালক আল আমিন সানি প্রমুখ।
Advertisement
বই উপহার কর্মসূচির প্রধান উদ্যোক্তা কবি রফিকুজ্জামান রণি বলেন, ‘সেপ্টেম্বর মাসকে বই উপহার মাস ঘোষণা করা হয়েছে। মাসজুড়ে চলবে এ কর্মসূচি। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের হাতে বই তুলে দিচ্ছি আমরা। ছোট-বড়, ধনী-গরিব সব পর্যায়ের মানুষের হাতে বই তুলে দিতে চাই আমরা। একাডেমির প্রত্যেক সদস্য এ ব্যাপারে আন্তরিক ভূমিকা পালন করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু এক মাস নয়, সারাবছরই চলবে আমাদের কর্মসূচি। গত আড়াই বছরে প্রায় ৪ হাজার বই উপহার দিয়েছি আমরা। শহরের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের হাতে বই তুলে দিয়ে আলোকিত সমাজ গঠন করতে চাই। মাদক, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বই। আমরা চাই, মানুষ বইয়ের দিকে ফিরে আসুক।’
এবারের বই উপহার কর্মসূচিতে সহযোগিতা করেছেন কবি মামুন রশীদ, কবি রহমান হাবিব, কবি আলীভাই আজগর, কবি প্রত্যয় হামিদ, কবি রহিমা আক্তার মৌ, কবি সোহেল মাহববুব ও কবি তৌফিক জহুর।
এসইউ/এএসএম
Advertisement