বগুড়ার শেরপুরে ভাতিজিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বসতবাড়িতে সশস্ত্র এক বখাটে ও তার লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় দুই চাচাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
Advertisement
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া কলোনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-উপজেলার বাগড়া কলোনি গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে আলী আজম (৩২) ও তার ভাই আব্দুল আজিজ (২৮)। তাদের মধ্যে আলী আজমের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমার বড় ভাই আলম হোসেন ঢাকায় চাকরি করেন। সে কারণে ভাই ও ভাবি সেখানে থাকলেও তাদের দুই মেয়ে আমাদের সঙ্গে থাকে। স্থানীয় বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে তারা। আমার বড় ভাতিজি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বেশকিছুদিন ধরেই আমার এই ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করে আসছে বাগড়া কলোনী গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে বখাটে সজিব হাসান। বিষয়টি জানতে পেরে সজিবকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করা হয়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। এনিয়ে আমার ও ভাই আলী আজমের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটিও হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে আমাদের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এসময় আমাকে ও ভাইকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করা হয়। একপর্যায়ে মৃত ভেবে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাদের ফেলে রেখে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।’
Advertisement
ঘটনাটি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত সজিব হাসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পলাতক থাকায় এবং ফোন বন্ধ করে রাখায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীসহ সবার সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশ সদস্যরা। সেইসঙ্গে তাদের থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত হামলাকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এফআরএম/এএসএম
Advertisement