খুলনায় মাদক কিনে না আনায় একটি গ্যারেজের ম্যানেজার শামীম মোড়লকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন ওই গ্যারেজের সাবেক ম্যানেজার আরাফাত হোসেন (১৯)।
Advertisement
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক শাহিদুল ইসলামের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি আরাফাত।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনার লবণচরা থানার মোহাম্মদ নগর এলাকার একটি ইজিবাইকের গ্যারেজ থেকে শামীম মোড়লের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরে প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার করা হয় আরাফাতকে।
জানা যায়, নিহত শামীম ওই গ্যারেজে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতেন। নিহত শামীম খুলনা নগরের দারোগার ভিটা শান্তিনগর এলাকার মো. মুজিবুর রহমান মোড়লের ছেলে। ওই দিন দুপুরেই নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে লবণচরা থানায় মামলা করেন।
Advertisement
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. শাহ্জাহান শেখ জানান, আরাফাত ওই গ্যারেজে ম্যানেজারের কাজ করতেন। কিন্তু দুই মাস আগে আরাফাতকে বাদ দিয়ে শামীমকে ম্যানেজারের চাকরি দেওয়া হয়। এতে শামীমের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন তিনি। পরে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শামীমকে ২০০ টাকা দিয়ে গাঁজা কিনে আনতে বলেন আরাফাত। কিন্তু শামীম ওই টাকা খরচ করে ফেললে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শামীমের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আরাফাত। পরে গ্যারেজের ক্যাশবাক্স ভেঙে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। পুরো ঘটনার প্রমাণ মুছে ফেলতে ওই গ্যারেজের সিসিটিভিও সঙ্গে নিয়ে যান।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আরাফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ি থেকে গ্যারেজের লুট করা ২১ হাজার ৩০০ টাকা ও পাশের একটি খাল থেকে সিসি ক্যামেরার বাক্স উদ্ধার করা হয়েছে।
আলমগীর হান্নান/ এফআরএম/এএসএম
Advertisement