পাল্টে গেছে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের চিত্র। কয়েকদিন আগেও রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে চিকিৎসক নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের। দম ফেলার ফুরসত ছিলো না কারো। যখন তখন শোনা যেত কান্নার রোল। বেডের জন্য ছিল হাহাকার। সেই করোনা ইউনিটে এখন রোগী নেই, শয্যা রয়েছে ফাঁকা।
Advertisement
এম আব্দুর রহিম মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ইনচার্জ ডাক্তার আক্তার কামাল বলেন, করোনার প্রকোপ বাড়া-কমার ক্ষেত্রে নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। তবে মাস চারেক আগে প্রকোপ বৃদ্ধির সময় থেকে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সচেতন হয়েছে। ফলে সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমেছে।
দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে দুই হাসপাতালের করোনা ইউনিট ঘুরে দেখা যায়, মেডিকেলের রেড জোনে ১০, এইচডিইউতে ছয় ও আইসিইউতে ছয় রোগী রয়েছেন। আইসোলেশন সেন্টার-১ এ ৭৬ শয্যার বিপরীতে রোগী রয়েছে ২২ জন। তবে আইসোলেশন সেন্টার-২ এ ৬৩ শয্যায় কোনো রোগী নেই।
অপরদিকে, সদর হাসপাতালে ৭৫ শয্যার বিপরীতে করোনা পজিটিভ রোগী রয়েছেন একজন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন ১৩ রোগী।
Advertisement
এ সময় এক নার্স জানান, রোগীর চাপ কম হওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছি। আর যেন কারো করোনা না হয়।
জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত বছর ১৪ এপ্রিল। শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ৭৫ হাজার ৫৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৪৯০ জন। যা শতকরা হিসেবে ১৯ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮৭ জনের।
দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক পারভেজ সোহেল রানা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে চলা কঠোর লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কারণে সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে। এছাড়া জেলায় ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। সচেতনতাসহ সবকিছু মিলে সংক্রমণের হার কমেছে। তবে এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। কেননা, গতবছরও এই সময় করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। যে কোনো সময় সংক্রমনণ বাড়তে পারে। সুতরাং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং টিকা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।
এমদাদুল হক মিলন/এএইচ/এমএস
Advertisement