প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং তার স্বামী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে এ দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। মুহূর্তে সেই খবর ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইনে প্রচারিত লাইভ সম্প্রচার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ইভ্যালি সিইও’র বাসার সামনে জড়ো হন ভুক্তভোগীরা।
Advertisement
তবে তাদের বেশিরভাগই ছিলেন গ্রেফতারের বিপক্ষে। এসময় গ্রাহকরা নানা ধরনের স্লোগান দেন। তারা বলেন, ইভ্যালি থাকলে তারা টাকা ফেরত পাবেন। না হলে যুবক, ডেসটিনির মতো অবস্থা হবে।
এছাড়া ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমার মুক্তির দাবিতে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এই দম্পতিকে গ্রেফতারের সংবাদ ফেসবুকে পোস্ট করে অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে নানা মন্তব্য করেন।
Advertisement
ফেসবুকে সুশান্ত দাস গুপ্তা নামে একজন লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় না রাসেল তেমন কোনো টাকা সরিয়েছে, কারণ সে চেয়েছিল অর্ডার ভলিউম বাড়িয়ে কাস্টমার বেইস ও মানি-ফ্লো বাড়াতে। হয়তো সে ভেবেছিল, আস্তে আস্তে অর্ডার ভ্যালু ন্যায্যমূল্যে নিয়ে এসে পুরোনো লস কাভার করবে। কিন্তু এটা সম্ভব হওয়ার আগেই তার ইভ্যালি কলাপ্স করলো।’
তিনি আরও লেখেন, ‘রাসেলের জন্য সমবেদনা। রাসেলকে মুক্তি দিয়ে ইভ্যালি বাঁচানোর সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।’
মিনহাজ উদ্দীন মাহমুদ নামে একজন লিখেছেন, ‘লোকটা ৬ মাস সময় চেয়েছিল, সময় না দিয়ে এমন উদ্ভট অভিযান চালানো আমার মতে একেবারেই উচিত হয়নি। আমি সরকারের ঊর্ধ্বতনদের প্রশ্ন করি, আজকে#ইভ্যালি সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে সাধারণ কাস্টমারদের একজনও কি উপকৃত হয়েছে? ইভ্যালিকে থামিয়ে দিলে গ্রাহকদের প্রাপ্য অর্থ কী সরকার...দেবে?’
ফরিদ মজুমদার নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘ডেসটিনি ও যুবক, এ দুই কোম্পানি থেকে কেউ ১ টাকা ফেরত পেয়েছিল? লোভ শেষ করে দিল মানুষকে। ১০০ টাকার জিনিস ক্যামনে ৪০ টাকায় দেয়, একবারও চিন্তা করে না।’
Advertisement
এদিকে ইভ্যালির ফেসবুক পেজে ঘুরে দেখা গেছে সিইও-এমডি গ্রেফতারের কোনো প্রভাব পড়েনি। ‘টি টেন’ নামের একটি ক্যাম্পেইন চলছে। যদিও ইভ্যালি সিইও গ্রেফতারের পর ফাঁকা হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডির অফিস।
এসএম/ইএ