দেশের সব অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে মানহানিকর তথ্য ও গুজব ছড়ালে নিবন্ধিত পোর্টালও বন্ধ করা যাবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
এ সংক্রান্ত এক রিটে আবেদনের শুনানি নিয়ে দেওয়া আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর এ তথ্য জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। ওই আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করা হয়েছে।
আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট জারিন রহমান ও রাশিদা চৌধুরী নীলু। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল (এম আর) চৌধুরী।
Advertisement
আজ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ লিখিত ওই আদেশ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী পক্ষের আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নীলু।
লিখিত আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে বলা হয়েছে, দেশের সব অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করতে হবে। আদেশের কপি হাতে পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রতিবেদন আকারে জমা দেবেন। সেই সঙ্গে রিট পিটিশনে উল্লিখিত নিবন্ধিত নিউজ পোর্টালসমূহ যদি অনৈতিক, মানহানিকর ও গুজব সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করে, তাহলে বিবাদীরা ওইসব নিউজ পোর্টালও বন্ধ করতে পারবেন।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। ওইদিন এক সপ্তাহের মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলেছিলেন আদালত।
গত ৫ মে সংবেদনশীল সংবাদসহ যেকোনো খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য ‘নৈতিক নীতিমালা’ প্রণয়ন চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী জারিন রহমান ও রাশিদা চৌধুরী নীলু।
Advertisement
রিট আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীতে ২১ বছরের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দণ্ডবিধি আইনের ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদমাধ্যমগুলো, বিশেষ করে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে অগ্রহণযোগ্যভাবে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। অথচ এসব সংবাদ পরিবেশন বন্ধে বিটিআরসি কিংবা প্রেস কাউন্সিল কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে দেশে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলো চালু থাকার পরও বিটিআরসি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই এসব পোর্টালের রেজিস্ট্রেশনও জরুরি বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।
এফএইচ/এমআরআর/জেআইএম