গুঞ্জনটা ছড়িয়ে পড়েছিল আগেই। তবে পরে আবার শোনা যায়, ঘটনা সত্য নয়, কেবলই গুঞ্জন। অবশেষে বিরাট কোহলির পক্ষ থেকেই আসলো ঘোষণাটা, সত্যিই ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপের পরই দায়িত্ব চলে যাবে অন্য কারও হাতে।
Advertisement
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক বিশাল বার্তায় টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কোহলি। যেখানে তিনি লিখেছেন-‘শুধু ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করাই নয়, নিজের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারাও আমার জন্য বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার। ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে আমার এই যাত্রাপথে যারা সাহায্য করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। দলের ছেলেরা, সাপোর্ট স্টাফ, নির্বাচক কমিটি, কোচ এবং প্রতিটি ভারতীয় সমর্থক; যারা আমাদের জয়ের জন্য প্রার্থনা করে থাকেন, সবার সমর্থন ছাড়া আমি এটা করতে পারতাম না।’
‘কাজের চাপটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। গত ৮-৯ বছর ধরে তিন ফরমেটে খেলা এবং ৫-৬ বছর ধরে অধিনায়কত্ব করতে আমাকে অনেক চাপ সামলাতে হয়েছে। ভারতের টেস্ট এবং ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে আমার মনে হয় একটু জায়গা বের করা দরকার। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্বে থাকাকালীন আমি সর্বস্ব দেয়ার চেষ্টা করেছি এবং সামনে ব্যাটসম্যান হিসেবেও এই ফরমেটে সেটা দিতে চাইব।’
‘অবশ্যই এই সিদ্ধান্তটা নিতে অনেক সময় লেগেছে। বেশ চিন্তাভাবনা করে এবং আমার কাছের মানুষ রবি ভাই (হেড কোচ রবি শাস্ত্রী) এবং রোহিতের (শর্মা) সঙ্গে আলোচনা করে, যারা কিনা এই নেতৃত্বের অংশটাতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ; আমি সিদ্ধান্তটা নিয়েছি যে, দুবাইয়ে অক্টোবর মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নেতৃত্ব ছাড়ব। বোর্ড সচিব জয় শাহ এবং সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি ও নির্বাচকমন্ডলীর সঙ্গেও আমি এই ব্যাপারে কথা বলেছি। আমি আমার সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট এবং ভারতীয় দলকে সেবা দিয়ে যাবো।’
Advertisement
ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে কোহলির সাফল্যের পাল্লাটা বেশ ভারিই বলা যায়। কিংবদন্তি অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির থেকেও পরিসংখ্যানে এগিয়ে তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে ২৯টিতেই জয় পেয়েছেন কোহলি। হেরেছেন ১৪টি, ফল হয়নি দুই ম্যাচের। সাফল্যের হার ৬৪.৪৪ শতাংশ। এই ফরমেটে যা কিনা বিশ্বের যে কোনো অধিনায়কের দ্বিতীয় সেরা সাফল্য (কমপক্ষে ৪০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়া)।
অন্যদিকে ধোনি ৭২ ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যার মধ্যে দল জিতেছে ৪২টি, ২৮টিতে হার, দুটিতে ফল হয়নি। সাফল্যের হার ৫৮.৩৩ শতাংশ।
এমএমআর/এএসএম
Advertisement