ভয়াবহ ভূমিকম্পের জন্য ফাইনালটা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। নেপালে গত এপ্রিলে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল, তখন সেখানে অবস্থান করছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল দল। নেপালোর কাঠমুন্ডুতে তখন তারা অপেক্ষা করছিল এএফসি অনুর্ধ্ব-১৪ গার্লস রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার জন্য। ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সে ফাইনাল ম্যাচটি। কিন্তু হঠাৎ ভূমিকম্পে সব কিছু ওলট-পালট হয়ে যায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ত্রান নিয়ে নেপাল যাওয়ার পর জরুরী ভিত্তিতে দেশে ফিরিয়ে আনে কিশোরী ফুটবলারদের। ফাইনাল না খেলেই তারা দেশে ফিরেছিল সেবার। সেই ফাইনালটিই এবার অনুষ্ঠিত হবে নেপালে। আগামী রোববার কাঠমুন্ডুর আর্মি গ্রাউন্ড স্টেডিয়ামে ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের কিশোরী ফুটবলাররা।এএফসি অনুর্ধ-১৪ গার্লস রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপের সেই ফাইনাল খেলতে আজ (শুক্রবার) নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৪ জাতীয় নারী ফুটবল দল। দেশ ছাড়ার আগে শিরোপা জয়ের প্রত্যয়ের কথা জানান দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। শুক্রবার দুপুর ২টায় বিমানযোগে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে রওনা হয় কৃষ্ণা-সানজিদারা।শিরোপা জয়ের আশা জানিয়ে কিশোরী ফুটবলারদের কোচ ছোটন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘প্রস্ততি অনেক ভাল থাকায় শিরোপা জয়ের ব্যাপাওে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’ কোচের সঙ্গে সুর মেলায় দলের অধিনায়ক কৃষ্ণা রাণী সরকারও। উল্লেখ্য, যে কোন পর্যায়ের মহিলা ফুটবলের আসরে এই প্রথম বাংলাদেশ ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে। এর আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৪ মহিলা দল শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এই আসরে অংশ নিয়ে তৃতীয় হয়েছিল এবং ফেয়ার প্লে ট্রফি লাভ করেছিল। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলে গ্রুপে ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে এবং ভুটানকে ১৬-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়। এই ধরনের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দল আগে কখনও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। সেমিতে ইরানকে ২-০ গোলে হারায়। পক্ষান্তরে সেমিতে নেপাল ভারতকে হারায়। বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৪ বালিকা ফুটবল দল গোলরক্ষক: তাসলিমা, মাহমুদা আক্তার, রূপা; ডিফেন্ডার: শামসুন নাহার, রুমা আক্তার, শিউলি আজিম, নার্গিস খাতুন, নাজমা, জোৎস্না। মিডফিল্ডার: রাজিয়া খাতুন, সানজিদা আক্তার, মিরশাত জাহান মৌসুমী (সহ-অধিনায়ক), কৃষ্ণ রানী সরকার (অধিনায়ক), মারিয়া মান্দা, তহুরা খাতুন, মনিকা চাকমা। ফরোয়ার্ড: মারজিয়া ও সিরাত জাহান স্বপ্না। আইএইচএস/এমএস
Advertisement