আন্তর্জাতিক

বিশ্বে করোনায় আরও ১০ হাজারের বেশি মৃত্যু

করোনাভাইরাসে এখনো বিপর্যস্ত বিশ্ব। এরইমধ্যে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে নানা দেশ। খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব কিছু। এই অবস্থায় আবারও সারা বিশ্বে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু উভয়ই বেড়েছে। এর মাঝে পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরও ১০ হাজার ২০০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। আর করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৪ জন।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টায় এ তথ্য জানা যায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে।

এর আগে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছিলেন ৯ হাজার ৯৩ জন এবং করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫৫৪ জনে।

Advertisement

ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মারা গেছেন ৪৬ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮১ জন। মোট শনাক্ত হয়েছেন ২২ কোটি ৭২ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ কোটি ৩৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭১৭ জন।

এদিকে তালিকার প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৮০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ৮৫ হাজার ২৩ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২২ লাখ ৭১ হাজার ৮৪ জন।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮৭৩ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬০ জন।

তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে শনাক্তের সংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৬১০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪০ জন।

Advertisement

তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক, ইরান, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন ও ইতালি।

এদিকে তালিকায় এখন বাংলাদেশের অবস্থান ২৮ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪১ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৫৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৫৪১ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।

সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশের অবস্থা আবারও খারাপ হচ্ছে।

এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ এবং শিশুদেরও টিকা দেওয়া শুরু করেছে।

জেডএইচ/জিকেএস