চেলসিতে আবারও আগমণ ঘটছে ডাচ কোচ গাস হিডিংকের। দ্বিতীয়বারেরমত দ্য ব্লুজদের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তিনি। হোসে মরিনহোকে বরখাস্ত করার পর জ্বল্পনা উঠেছিল, কে হচ্ছেন চেলসির পরবর্তী কোচ? ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে সাবেক দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক এবং নেদারল্যান্ড কোচ হিডিংকের নাম ঘোষণা করেছে চেলসি। গত সপ্তাহেই লেস্টার সিটির কাছে হারের পর চেলসির কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’ হোসে মরিনহো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ১৬ ম্যাচের মধ্যে ৯ ম্যাচ হারের কারণে বরখাস্ত হতে হয় তাকে। মরিনহোর বরখাস্তের পর নতুন কোচ নিয়ে বেশ জ্বল্পনা উঠে আসে ফুটবল পাড়ায়। তবে এ নিয়ে চলছিল জোর গুঞ্জন। বায়ার্ন কোচ পেপ গার্দিওলা থেকে শুরু করে সিএসকেএ মস্কোর কোচ লেওনিদ স্লাতস্কি পর্যন্ত অনেকেরই নাম উঠে আসছিল। শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে হিডিংকে দায়িত্ব দিয়ে আবারও হিডিংকে ফিরিয়ে আনছে চেলসি। ২০০৯ সালেও অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে চেলসির দায়িত্ব পালন করেছিলেন কোচ হিডিংক। ওই সময় তার অধীনে চেলসি এফএ কাপ জিতেছিল শুধু। দি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, স্থায়ীভাবে কোন কোচের জন্য আগামী মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারে চেলসি। তবে হিডিংকে কতদিনের জন্য নেয়া হচ্ছে সেটা পুরোপুরি জানা যায়নি। পরবর্তী কোচ নিয়োগ না নেয়া পর্যন্ত কাজ করবেন তিনি। যদিও দীর্ঘসময়ের জন্য কোচের তালিকায় আসছে অনেক নাম। এখন পর্যন্ত পাঁচজন এই তালকায় রয়েছেন।চেলসির স্থায়ী কোচ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন যারাপেপ গার্দিওলা: চলতি মৌসুমেই বায়ার্নের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ স্প্যানিশ তারকার। তাকে দলে পেতে ইতোমধ্যেই বাঘা বাঘা দলগুলোর মধ্যে চলছে জোর প্রতিযোগিতা। এই তালিকায় পিছিয়ে নেই চেলসিও। এর আগে বার্সেলোনার হয়ে তিনটি লা লিগা এবং দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছেন গার্দিওলা। বুন্দাসলিগাও টানা তিনটি শিরোপা জয়ের পথে রয়েছেন এই তারকা।দিয়াগো সিমিওনি: গার্দিওলার পরই বেশি আলোচিত হচ্ছেন এই আর্জেন্টাইন তারকার নাম। ২০১৪ সালে একটি মাঝারি মানের দল নিয়ে আতলেটিকো মাদ্রিদকে লালিগার শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি। একই বছরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপায় প্রায় জিতে নিয়েছিলেন তারা। সের্জিও রামোসের শেষ মুহূর্তের গোলে স্বপ্ন ভাঙ্গে তাদের। দলের টিম স্পিরিট তৈরিতে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারেন সিমিওনি।কার্লো অ্যানচেলত্তি: রিয়াল মাদ্রিদ থেকে চাকরি হারানোর পর থেকেই ফ্রী রয়েছেন তিনি। তাই চেলসি মালিক আব্রামোভিচ হয়তো তাকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারেন। এর আগে ২০১০ সালে চেলসিকে এফএ কাপ এবং লিগ শিরোপা ‘ডাবল’ জিতিয়েছিলেন এই ইতালিয়ান। এছাড়াও রিয়ালকে লা দেসিমা এবং পিএসজিকে লিগ শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি।অ্যান্তেনিও কন্তে: খেলোয়াড় হিসাবে পাঁচটি সিরিএ শিরোপা জয়ের পর ২০১১ সালে জুভান্টাসের কোচ হন তিনি। দায়িত্ব নেবার পর থেকে টানা চারটি সিরিএ শিরোপা জিতে নিয়েছেন এ ইতালিয়ান। গত মৌসুমে তার অধীনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলে জুভরা। সেই সব বিবেচনায় আব্রামোভিচের বিবেচনায় রয়েছেন তিনি।লেওনিদ স্লাতস্কি: বড় বড় নামের ভিড়ে অনেকটাই অপরিচিত নাম এই রাশিয়ানের। তবে স্বদেশী আব্রামোভিচের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের কারণে চেলসি কোচের সম্ভাব্য তালিকায় তিনিও পিছিয়ে নেই। ফ্যাবিও কেপেলোর কাছ থেকে রাশিয়া জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে ধুকতে থাকা দলকে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে তুলেছেন স্লাতস্কি। একই সঙ্গে সিএসকেএ মস্কোর কোচের দায়িত্বও পালন করছেন তিনি। ২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ মৌসুমে সিএসকেএ মস্কোকে লিগ শিরোপা জিতিয়েছেন এই রাশিয়ান। তবে চেলসি দলে আব্রামোভিচ হয়তো তার দ্বৈত চরিত্র পছন্দ নাও করতে পারেন।আরটি/আইএইচএস/এমএস
Advertisement