বয়সের বিচারে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে তরুণ দল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পাওয়া ১৫ জনের গড় বয়স ২৭ এরও কম। বিশ্বকাপে অংশ নেয়া অন্য ১৫ দলের গড় বয়স অন্তত ২৭ এর বেশি।
Advertisement
দল হিসেবে তরুণ হলেও মাঠের খেলায় এর প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন বাংলাদেশের একসময়কার নিয়মিত মুখ নাসির হোসেন। তার মতে, নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো খেলবে তাদের পক্ষেই থাকবে খেলার ফলাফল।
বাংলাদেশ দলের সমর্থক হিসেবে তিনি চান, বিশ্বকাপ শিরোপা যেনো দেশেই আসে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতলেও তা অসম্ভব হবে না বলে মনে করেন নাসির।
বুধবার মিরপুরের বিসিবি একাডেমি ভবনের সামনে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সম্ভাবনার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকাপে নাসির বলেন, আমি তো চাইবো বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কাপ জিতুক। এটা ডিপেন্ড করে আসলে। আপনি এভাবে বলতে পারেন না কতটুকু যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
Advertisement
তিনি আরও যোগ করেন, ‘খেলা হচ্ছে ১২০ বলের। তো ঐ ১২০ বল যারা ভালো খেলবে, ঐ দিনটা যাদের ভালো থাকবে, তারাই রেজাল্ট করবে। বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপ জেতে, আমার মনে হয় না এটা অসম্ভব কিছু হবে।’
ফল পক্ষে আনতে করণীয় সম্পর্কে জানিয়ে নাসির বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, যেখানে বড় দল আর ছোট দলের ব্যবধানটা অনেক কম থাকে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ যদি ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং ভালো করে আর ভুল কম করে, তাহলে জেতার চান্স অনেক বেশি।’
একসময় মি. ফিনিশার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন নাসির। তাই অবধারিতভাবেই তার কাছে রাখা হয় ফিনিশিং বিষয়ক প্রশ্ন। বিশ্বকাপ দলে ফিনিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান, শামীম পাটোয়ারীদের ওপর পূর্ণ আস্থার কথা জানিয়েছেন নাসির।
তার ভাষ্য, ‘অবশ্যই তারা সামর্থ্যবান। তা না হইলে এই জায়গাটায় থাকতো না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, টি-টোয়েন্টিতে খেলে হচ্ছে দুইটা প্লেয়ার, ৬-৭ নম্বরে যারা ব্যাটিং করবে তাদের কিন্তু ভূমিকা কম। যারা টপঅর্ডারে ব্যাটিং করবে তাদের ভূমিকাটা অনেক বেশি। আমার মনে হয় যে, যে টিম হয়েছে অনেক ভালো দল হয়েছে। অবশ্যই সবাই ক্যাপেবল। ইনশাআল্লাহ আমি বিশ্বাস করি যে টি-টোয়েন্টিতে আমরা ভালো রেজাল্ট করবো।’
Advertisement
এসএএস/জিকেএস