রোদ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রাজধানীবাসী। সবচে বেশি কষ্ট পোহাতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষকে।
Advertisement
ফলে স্বাভাবিক কাজ করতে পারছেন না পণ্য ডেলিভারি ম্যান, রিকশা-ভ্যানচালক থেকে শুরু করে দিন মজুররা। খোলা আকাশের নিচে তাদের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।
অপরদিকে পানিশূন্যতা ও ডায়রিয়াসহ গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে রাজধানী জুড়ে তাপমাত্রা বিরাজ করছে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঝিরঝির বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে কিছুটা। এসময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। আর রাতের তাপমাত্রা থাকতে পারে অপরিবর্তিত।
Advertisement
খাবার সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ফুড পান্ডার ডেলিভারি বয় হৃদয় হাসান জাগো নিউজকে জানান, এই রোদে সাইকেল চালিয়ে খাবার পৌঁছে দেওয়া অনেক কষ্টের।
এদিকে ভ্যানে ফল নিয়ে বসেছেন আফজাল মিয়া। এই গরমে তিনি অস্থির। বলেন, ‘মামা যে গরম পড়ছে দেখোইন্না গায়ের জামাডা খুইলালাইছি। অবস্থা খুব খারাপ। তার ওপর বেচাকেনা অনেক কম। মানুষ বাইরের জিনিস এখন খেতে চায় না।’
অপরদিকে রুহুল কুদ্দুস ও আবসুস সামাদ সকাল থেকে রিকশা চালিয়ে ক্লান্ত। তাই তারা ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
তারা বলেন, ‘গতকাল কিছুটা ঠাণ্ডা ছিল। আজকে যে রোদ পড়ছে সকাল থেকে রিকশা চালাইয়া এখন আর কুলাইতেচে না শরীর। পেটের দায়ে দৌড়াতে হইতাছে। দিনে আইনা দিনে খাইতে হয়। কাম তো করাই লাগব।’
Advertisement
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় তাপমাত্রা কম থাকলেও ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে গরম বেশি অনুভূত হয়। তাই অস্বস্তি বেড়ে যায়। এসময় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ওঠানামা করে। অন্যদিকে বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলেও বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় মানুষের শরীর থেকে ঘাম কম বের হয়।
এএএম/জেডএইচ/জেআইএম