বিনোদন

হাজিরা দিতে এসে আদালতের হাজতখানায় পরীমনি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় হাজিরা দিতে এসে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় প্রবেশ করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি।

Advertisement

এর আগে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১টায় আদালত চত্বরে হাজির হন তিনি। এরপর পরীমনি ১২ নম্বর আদলতে প্রবেশ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা না আসায় তিনি বের হয়ে হাজতখানায় প্রবেশ করেন। এ হাজতখানায় গ্রেফতার আসামিদের রাখা হয়।

এদিকে আজ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।

Advertisement

গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

ওইদিনই রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র‌্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে পরীমনি, প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর র‌্যাব বাদি হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।

পরে তাকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর আরও দুই দফায় তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Advertisement

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।

২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমনি এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমনিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।

জেএ/জেডএইচ/জেআইএম