দেশজুড়ে

করোনায় বন্ধ স্কুল মাঠ দখল করে ধানচাষ

এক সময় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় দিনভর মুখর থাকতো স্কুলের সামনের মাঠটি। কিন্তু এখন এটি দেখে আর কোনোভাবেই বোঝার উপায় নেই যে এটি এক সময় স্কুলের মাঠ ছিল। করোনা মহামারির সুযোগ নিয়ে স্কুলের খেলার মাঠটি দখল করে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুহুল আজম কেরু সেখানে ধানচাষ করছেন।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রামনগর পশ্চিমপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুলটির জমি সরকারি দলিলকৃত সম্পত্তি। সরকারিকরণে চিঠিও এসেছিল। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকেও কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে গেছেন। তবে করোনার কারণে সরকারি নিদের্শনায় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সেখানে ধানের চাষ করছেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুহুল আজম।

স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলে, আগে স্কুলমাঠে ফুটবলসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা হতো। স্কুলের সভাপতি রুহুল আজম ধানচাষ করায় বেশ কিছুদিন ধরে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের খেলাধুলার মাঠটি আবার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

Advertisement

রামনগর পশ্চিমপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল বলেন, স্কুলটির জমি সরকারি দলিলকৃত সম্পত্তি। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান ভালো ছিল। তবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিদ্যালয় মাঠে ধানচাষ কেন যে করছেন তা আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুহুল আজম কেরু বলেন, এতো বড় একটি জায়গা ফেলে রাখবো কী করে? তাই ধানচাষ করেছি।

মিরপুর উপজেলার সচেতন নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল করিম বলেন, বিষয়টি একেবারেই দুঃখজনক। তিনি এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

মিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ রানা বলেন, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ দখল করে এ ধরনের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। এমনটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

এ ব্যাপারে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, এমন কাজের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। দ্রুত ওই বিদ্যালয়ের মাঠে খেলাধুলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আল-মামুন সাগর/এসআর/এমএস