রাজনীতি

আপদ-বালা দুটোই যাক

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, বাঘের পরিবর্তে মানুষ কুমিরের হাতে যেতে চায় না। মানুষ ঘরে চুপ করে বসে আছে এ জন্যই যে, আপদ-বালা দুটোই যাক। এ জন্য অবরোধে মানুষ সাড়া দেয়নি। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রথম কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার চারপাশে যারা আছে, তারা আপনাকে অন্ধকারে রেখেছে। মানুষের মনে যে বিষবাষ্প জমা হচ্ছে তার বিস্ফোরণ ঘটলে পরিণতি কি হবে তা আমি বুঝতে পারি না। আপনাকে যারা পাহারা দেয় তাদের বাঁচিয়ে আপনি একটি বস্তি, গ্রাম কিংবা মহল্লায় গিয়ে আপনি মানুষকে জিজ্ঞাসা করেন যে দেশ কেমন চলছে? দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর অবনতি হয়েছে এমন দাবি করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, একা ঠেকাতে পারবেন না। কোনো দেশের রাজা-বাদশা, ক্ষমতাসীন সরকার একা পারেনি। আমরা একা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করিনি। সাড়ে ৭ কোটি মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছে।তিনি বলেন, জনগণকে রাজনৈতিক ক্ষমতার মালিক করতে হবে। ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। আপনারা বিকেন্দ্রীকারণকে ভয় পান। আপনারা চান একচ্ছত্র ক্ষমতা। দল কেন্দ্রিক ক্ষমতা, স্বাধীন- নিরপেক্ষ ও সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র চলছে না। রাজনৈতিকভাবে দেশ চলছে না, রাজনৈতিক চর্চা হচ্ছে না দাবি করে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে, কিন্তু মানুষ নিয়ে কোনো কথা নেই।   তিনি বলেন, এ দেশ মিছিল মিটিংয়ের দেশ, দেশের স্বাধীনতা এসেছে মিছিল মিটিং করে। কিন্তু এখন মিছিল, মিটিং করতে দেওয়া হচ্ছে না। দেশে এখন রাজতন্ত্রের চেয়েও খারাপ অবস্থা চলছে। সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সিরাজুল আলম খান দেশের সবচেয়ে বড় জীবিত রাজনৈতিক দার্শনিক। তিনি এ দেশের সব সমস্যা বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু কেন জানি লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করেন।তিনি বলেন, অনেক সময় অতীতের কথা নাড়া দিতে হয়। সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য মুক্ত রাজনীতি প্রয়োজন। ট্রানজিট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে এ বিষয়টি প্রমাণিত যে এইডসের বিস্তার হয়েছে আন্তঃদেশীয় চালাকদের দ্বারা। প্রতিবেশীকে সাহায্য করতে গিয়ে এ বিস্তার এ দেশে হবে। বিনিময়ে আমরা কি পাব এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি স্বরূপ হাসান শাহীন। সভায় রাজনৈতিক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন হোসেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মতিন হিরু, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর হিরু, অ্যাডভোকেট তাসমিনা রানা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।  এএসএস/এসএইচএস/এমএস

Advertisement