দেশজুড়ে

চেয়ার নিয়ে দ্বন্দ্ব, শিশু সুমাইয়াকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করেন দাদি

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় চাঞ্চল্যকর শিশু সুমাইয়া হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের দাদি রানী বেগম (৫০)।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৩ (বোচাগঞ্জ) এর বিচারক শারমিন আক্তারের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর নিহত শিশুর মা মাসতারা বেগম (২০) ও দাদি রীনা বেগমকে (৫০) গ্রেফতার করে পুলিশ। আটকের পর মাসতারা বেগমকে দুইদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে তিনি হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।

মঙ্গলবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নিহত শিশুর দাদি রীনা বেগম বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাড়িতে একটি চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে পুত্রবধূ মাসতারার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে নিজের কোল থেকে শিশু সুমাইয়াকে মাসতারার দিকে ছুড়ে মারেন। এ সময় সুমাইয়াকে ধরতে অপ্রস্তুত থাকায় শিশুটি নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে বউ ও শাশুড়ি মিলে বাড়ির পাশের পুকুরে মরদেহ ফেলে দেন। পরে তারা আশপাশের লোকজনকে জড়ো করে জানান, শিশু সুমাইয়াকে বাড়ি থেকে কে বা কারা ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। পরদিন সকালে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে শিশু সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

৬ সেপ্টেম্বর মরদেহ উদ্ধারের পর নিহত শিশুর মা মাসতারা বেগম বাদী হয়ে বোচাগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুল হাসান বলেন, জবানবন্দি দেওয়ার জন্য বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিহতের মা মাসতারা বেগমকে আদালতে তোলা হবে।

এমদাদুল হক মিলন/এসআর/জিকেএস

Advertisement