দেশজুড়ে

নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ‘ভাতা কার্ড’ বাণিজ্যের অভিযোগ

অর্থের বিনিময়ে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ‘ভাতা কার্ড’ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভূরুলিয়া ইউপি সদস্য নার্গিস হাবিবের বিরুদ্ধে।

Advertisement

শ্যামনগর উপজেলার ভূরুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর এলাকার নিশিকান্ত লস্করের স্ত্রী রেনুকা বালা লস্কর ও এলাকার জয়দেব মণ্ডলের স্ত্রী সবিতা রানী মণ্ডল এবং সোনামুগারি গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনসহ (৬০) গ্রামের বেশ কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভূরুলিয়া ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য নার্গিস হাবিব বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে ‘ভাতা কার্ড’ করে দেন। তবে অনেকেই চাহিদা মত টাকা দিতে না পারায় সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক বিনামূল্যে প্রদত্ত ভাতার কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

উপকারভোগীদের কার্ড করার জন্য কখনো ভাতার পুরো টাকা, কখনো অগ্রিম টাকা, কখনো বা ভাতার টাকার একটি অংশ দিতে বাধ্য করেন ওই ইউপি সদস্য। আবার, টাকা দেওয়ার বিষয়টি কাউকে জানালে হেনস্তার শিকার কিংবা কার্ড বাতিলের হুমকিও দেন তিনি।

Advertisement

ভুক্তভোগী রেনুকা বালা লস্কর বলেন, মহিলা মেম্বার নার্গিস কার্ড করে দেওয়ার জন্য প্রথমে তিন হাজার এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বাবা তারকনাথের ছবি ছুঁয়ে শপথ করে নেন।

ভুক্তভোগী সবিতা রানী মন্ডল বলেন, মেম্বার নার্গিস বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য ছয় হাজার টাকা নিয়েছেন। বলেছে সমাজসেবা অফিসে কয়টা ঘুরানো চেয়ার কিনে দিতে হবে তাই টাকা লাগবে।

উপকারভোগী ফাতেমা খাতুন বলেন, তিন হাজার টাকা দেওয়ার পর বিধবা ভাতার কার্ড পেয়েছি।

তবে ইউপি সদস্য নার্গিস হাবিব টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন, কারো থেকে টাকা নেইনি। সামনে ইউপি নির্বাচন তাই প্রতিপক্ষরা অপপ্রচার করছে।

Advertisement

ভূরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা ফারুক হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। এসব বিষয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ সহিদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ভাতা কার্ড দেওয়ার নামে কোন জনপ্রতিনিধি ঘুষ নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কেউ যদি ভাতা কার্ডের নামে টাকা দাবি করে তবে সরাসরি আমাকে জানাবেন।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ ন ম আবুজর গিফারী জাগো নিউজকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

আহসানুর রহমান রাজীব/এএইচ/জিকেএস