দেশজুড়ে

বান্দরবানে শুরু হয়েছে রাজপুণ্যাহ উৎসব

বান্দরবানে শুরু হয়েছে বোমাং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী উৎসব রাজপুণ্যাহ। মূলত এ উৎসবে প্রজাদের কাছ থেকে বার্ষিক ফসল ও ভূমি কর আদায় করেন রোমাং রাজা। ১৮৭৬ সাল থেকে এ রীতি চলে আসছে।শুক্রবার দুপুরে বোমাং সার্কেল চিফ (বোমাং রাজা) উ চ প্রু প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা গ্রহণের মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন।উৎসব উপলক্ষে সকালে রাজাকে ফুল ছিটিয়ে দরবার হলে স্বাগত জানানো হয়। এর আগে অতিথিদের বরণ করে নেন রাজবাড়ির সদস্যরা। দুপুরে অতিথি ও প্রজাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন রাজা উ চ প্রু। পরে মৌজা প্রধান হেডম্যান (মৌজা প্রধান) এবং পাড়া প্রধান কারবারীরা (পাড়া প্রধান) রাজাকে খাজনা দেন। এরপরই শুরু হয় মারমা শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।রাজপুণ্যাহ উৎসবের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার নকিব আহমেদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য যা করণীয় তা নিয়ে মন্ত্রী পরিষদে আলোচনা করা হবে। এদিকে রাজা উ চ প্রু এ এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।রাজপুণ্যাহ উপলক্ষ্যে রাজার মাঠে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী লোকমেলা। আদিবাসীদের উৎপাদিত পণ্য ছাড়াও ব্যবহার উপযোগী নানা পণ্যেরও পসরা বসিয়েছেন দোকানিরা। আছে আদিবাসী সংস্কৃতির পাশাপাশি সার্কাস, বিচিত্রা অনুষ্ঠান, লটারিসহ নানা বিনোদন অনুষ্ঠান।প্রসঙ্গত, ১১টি আদিবাসী সম্প্রদায় আর প্রায় ১৭৬৪ বর্গমাইল এলাকা ও ১০৯টি মৌজা নিয়ে পার্বত্য জেলার বান্দরবান বোমাং সার্কেল গঠিত। বান্দরবানের ৯৫ এবং রাঙামাটির রাজস্থলি ও কাপ্তাইয়ের ১৪টি মৌজা নিয়ে বোমাং সার্কেল।সৈকত দাশ/এমজেড/পিআর

Advertisement