আন্তর্জাতিক

করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্টাফ সঙ্কট প্রকট

যুক্তরাষ্ট্রে খুলে দেওয়া হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরেছেন। কিন্তু নতুন এক ধরনের সঙ্কটে পড়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধাররা। এত সংখ্যক শিক্ষার্থী একসঙ্গে ক্যাম্পাসে ফেরায় তাদের সার্বক্ষণিক দেখাশোনার লোকজনের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। স্টাফ সঙ্কটে পড়ে ব্যাহত হচ্ছে সবধরনের কার্যক্রম।

Advertisement

জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং হলের এক সার্ভিস কর্মী বলেন, স্টাফ সংকট, সরবরাহ সঙ্কট রয়েছে। এরই মধ্যে আবার নতুন-পুরোনো মিলে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রবেশ করেছেন ক্যাম্পাসে। ফলে যারা আছেন প্রত্যেক স্টাফকে অতিরিক্ত কাজ করতে হচ্ছে।

সার্ভিস দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো করোনার ডেল্টা ধরনের কারণে স্বল্প স্টাফ দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। কলম্বিয়া বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক স্টিফান মেইয়ার বলেন, আপনি যদি কাজে যান তাহলে অন্যদের সঙ্গে ভালোভাবে সবকিছু ম্যানেজ করার চেষ্টা করবেন। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, বিশেষ করে ডাইনিং হলে দূরত্ব বজায় রাখাও কঠিন।

আমেরিকায় গত জুলাই মাসে রেকর্ডসংখ্যক, ১ কোটি ৯ লাখ মানুষের প্রয়োজন ছিল শুধু এসব সার্ভিসের জন্য।

Advertisement

ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়, ইলিনিয়স বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্দান আইওয়া থেকে ওয়াশিংটনের স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ও স্টাফ সংকটে শিক্ষার্থীদের ডাইনিংসহ অন্য সেবা দিতে পারছে না।

ওয়াশিংটন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং সার্ভিস পরিচালক সারাহ লার্সন বলেন, গত ছয় মাস ধরে আমরা স্টাফ নিয়োগ দেওয়ার জন্য লোক খুঁজছি, সাক্ষাৎকার নিচ্ছি। কাজের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়ার।

এমনকী ডাইনিং হলে বসার জায়গা খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এক ধরনের হতাশার মধ্যে পড়েছে, কবে তাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

এক শিক্ষার্থী দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে বলেন, গত সপ্তাহে আমি যখন ক্লাস শেষ করে দুপুরের খাবারের জন্য ডাইনিং হলে যাই দেখি লম্বা লাইন সেখানে। এমনকী এই লাইন ভবনের বাইরে পর্যন্ত চলে গেছে।

Advertisement

করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ছয় লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত আটদিন ধরে দৈনিক ১৫শ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে দেশটিতে। স্কুল খোলার পর শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যাও অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে।

এসএনআর/এএ/এএসএম