শিক্ষা

দ্বিতীয় দিনে মাধ্যমিকে ৭০ ও প্রাথমিকে ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত

স্কুল-কলেজ সচল হওয়ার দ্বিতীয় দিনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। এদিন সারাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৭০ শতাংশ ও প্রাথমিকে ৭৩ দশমিক ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থীর উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

Advertisement

মাউশি পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখা থেকে জানা যায়, সারাদেশে অনুমোদিত সরকারি-বেসরকারি ১৯ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সব স্কুল-কলেজ থেকে প্রতিদিনের শিক্ষার্থী-শিক্ষক উপস্থিতিসহ যাবতীয় তথ্য ছক আকারে দিতে বলা হলেও প্রথম দিন ১৪ হাজার ৮১৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাঠানো হয়। তবে দ্বিতীয়দিন ১৮ হাজার ৪০৮টি স্কুল-কলেজ থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব তথ্য পাঠানো হয়েছে।

এতে ঢাকা মহানগরের মধ্যে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ৮০ শতাংশের ওপরে আর জেলা পর্যায়ে এ হার ৭০ শতাংশ। গতকাল ঢাকায় উপস্থিতি ৮০ শতাংশ থাকলেও জেলা পর্যায়ে ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

জানতে চাইলে পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক আমির হোসেন সোমবার রাতে জাগো নিউজকে বলেন, সারাদেশে ১৯ হাজার অনুমোদিত স্কুল-কলেজ থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ১৮ হাজার ৪০৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। এতে ঢাকা মহানগরে ৮০ শতাংশ আর জেলা পর্যায়ে ৭০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী দ্বিতীয় দিনে ক্লাসে উপস্থিত ছিল। এ সংখ্যা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Advertisement

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সোমবার ৭৩ দশমিক ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস উপস্থিত ছিল। তার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭০ দশমিক ২৭ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৪ দশমিক ৫১ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭১ দশমিক ৩৫ শতাংশ, খুলনায় ৮১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, সিলেটে ৬৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বরিশালে ৭৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, রাজশাহীতে ৭৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ ও রংপুর বিভাগে ৭৬ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, দেশের সব বিদ্যালয়ে নির্দেশনা মোতবেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাসে পাঠদান শুরু হয়েছে। ক্লাসে আসতে পেরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অনেক খুশি। শিক্ষক-অভিভাবকেরা দ্রুত আরও বেশি সংখ্যক ক্লাস শুরুর দাবি জানিয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হলে এক সপ্তাহ পর শ্রেণি ও ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানান ডিপিই মহাপরিচালক। এমএইচএম/এআরএ/এমএস