জাতীয়

মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাই মানছেন না ইসির নির্দেশ

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে দেয়া নির্দেশনা মানছেন না মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এজন্য সঠিক তথ্য পাচ্ছে না কমিশন। আর সমন্বয়হীনতার অভাবে বিশৃঙ্খলার দেখা দিচ্ছে। চলছে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক। ইসির একজন উপসচিব জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও প্রার্থীদের লিখিত অভিযোগের পর ৩১ এমপির বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেয়া ছাড়াও অন্যান্য ঘটনাসহ ৪০ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ইসিকে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়।  বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে রির্টার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত একটিও প্রতিবেদন পাঠাননি কোন রির্টার্নিং কর্মকর্তা। এর আগেও এ নির্বাচনে কত জন মনোনয়ন জমা দিলেন, কতজন প্রত্যাহার করলেন আর কতজনের বাতিল হল তাও সঠিক সময়ে জানতে পারেননি রির্টানিং কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব রকিবউদ্দীন মন্ডল বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের  ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেই আমরা । বৃহস্পতিবার  থেকে রিটানিং কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইসিতে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোন রিটানিং কর্মকর্তা  এ বিষয়ে কিছুই জানাননি।তিনি বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি। বিজয় দিবসে ময়মনসিংহ, শরিয়তপুর ও নেত্রকোনাসহ বেশ কিছু এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ  এসেছে ইসিতে।   এবিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভেতরেই গলদ রয়েছে। তারা আদৌ সুষ্ঠু নির্বাচন চায় কি না তা নিয়েই দেখা দিয়েছে সংশয়। এজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে গাফলতি দেখা দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।প্রসঙ্গত, পৌর নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার কোনো সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি, সংসদ সদস্য ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররা নির্বাচনী প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।এ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান আছে। সর্ব্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও আছে ইসি।এইচএস/এসকেডি/পিআর

Advertisement