কুমিল্লার ছয়টি পৌরসভায় ২৮ জন মেয়র প্রার্থী বর্তমানে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। চান্দিনা, বরুড়া ও হোমনা পৌরসভার চার মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে অতীতে ১৪টি মামলা ছিল। জেলার ছয় পৌরসভার ২৪ মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে ৫জন অক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন, তিনজন এসএসসি পাশ করেননি, এমএ পাশ করেছেন চারজন। এসএসসি, এইচএসসি, কম্পিউটার ও আরবিসহ অন্যান্য বিভাগে লেখাপড়া করেছেন অপর মেয়র প্রার্থীরা। স্ব-শিক্ষিতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী একজন, জাতীয় পার্টির একজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দুজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী একজন। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া প্রার্থীদের হলফনামা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ২৮ মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে ১৫ জন ব্যবসায়ী। জানা যায়, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিজানুর রহমান স্নাতক, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ইনাম হোসেন পাটোয়ারী এসএসসি এবং বিএনপির প্রার্থী মুহম্মদ গোলাম রাব্বানী (নয়ন বাঙ্গালী) এমএসএস পাশ করেছেন। এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী উভয় পেশায় ব্যবসায়ী। লাকসাম পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক আবুল খায়ের এম.এ, বিএনপির শাহনাজ আক্তার বিএসএস, জাতীয় পার্টির (এ) মনোনীত প্রার্থী মোখলেছুর রহমান এম.এ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নূর মোহাম্মদ স্ব-শিক্ষিত। এ পৌরসভায় নূর মোহাম্মদ পেশায় ব্যবসায়ী। হোমনা পৌরসভায় মেয়র পদে আ.লীগের অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম এলএলবি, বিএনপির আবদুল লতিফ বিএসসি, বিএনপির বিদ্রোহী হানিফ মিয়া ১০ম শ্রেণি, বিএনপির বিদ্রোহী আলমগীর সরকার বি.কম, জাতীয় পার্টির ইসমাইল হোসেন সিরাজী স্ব-শিক্ষিত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুল হাকিম দাওরা হাদিস (এমএ) ও স্বতন্ত্র জহিরুল হক অষ্টম শ্রেণি পাশ করেছেন। এ পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর সরকারের বিরুদ্ধে মারামারির ঘটনায় কুমিল্লার বিচারিক হাকিম আদালতে একটি মামলা রয়েছে। এ পৌরসভায় বিএনপির আবদুল লতিফ, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর সরকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জহিরুল ইসলাম পেশায় ব্যবসায়ী। চান্দিনায় পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মফিজুল ইসলাম স্ব-শিক্ষিত, বিএনপির শাহ্ মোহাম্মদ আলমগীর খান এইচএসসি ও স্বতন্ত্র আবদুল মান্নান সরকার স্ব-শিক্ষিত। এ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আলমগীর খানের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে মারামারির ঘটনায় একটি, ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও কুমিল্লায় বিস্ফোরক আইনে দুটি, কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি ও দ্রুত বিচার আইনে কুমিল্লার দ্রুত বিচার আদালতে একটি মামলা রয়েছে। সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মান্নান সরকারের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বিঘিœত করার অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে। চান্দিনা পৌরসভার ৩ মেয়র প্রার্থীই পেশায় ব্যবসায়ী। বরুড়া পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বাহাদুরুজ্জামান এইচএসসি, বিএনপির জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী এইচএসসি, জাতীয় পার্টির আনু মিয়া মিয়াজী এমএ, ইসলামী ফ্রন্টের কবির হোসেন এসএসসি, তরিকত ফেডারেশনের আবুল কালাম আজাদ এসএসসি, জাসদ (ইনু) অজিত কুমার দত্ত ১০ম ও স্বতন্ত্র আরিফ হোসেন ভূইয়া বিএসএস। এ পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র জসিম উদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে কুমিল্লার অতিরিক্ত প্রধান বিচারিক হাকিমের আদালতে একটি ও জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে একটি মামলা রয়েছে। এ পৌরসভার জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছাড়া অপর ছয়জনই ব্যবসায়ী। দাউদকান্দি পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নাঈম ইউছুফ সেইন বিএসসি-ইন-কম্পিউটার সায়েন্স, বিএনপির কেএম আই খলিল এইচএসসি, বিএনপির বিদ্রোহী নুরুল আমিন সরকার এসএসসি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জালাল উদ্দিন স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন। এ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী কেএম আই খলিল ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল আমিন পেশায় ব্যবসায়ী। মো. কামাল উদ্দিন/এমজেড/পিআর
Advertisement