গত সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের বড় দরপতন হয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ৫০ ডলার কমেছে। বিশ্ববাজারে এমন দরপতন হলেও আপাতত বাংলাদেশের বাজারে কমানো হচ্ছে না স্বর্ণের দাম।
Advertisement
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যায়। মাঝে কিছুটা দাম কমলেও, এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ছিল।
বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দু’দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। জুনের শুরুতে বিশ্ববাজারে বড় দরপতনে দেশের বাজারেও কমানো হয় স্বর্ণের দাম।
কিন্তু আগস্টের মাঝামাঝি বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বেশ অস্থিরতা দেখা দেয়। কয়েক দফা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১০০ ডলারের মতো বেড়ে যায়। তখন বাংলাদেশেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়।
Advertisement
সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট বাজুস ভরিতে ১ হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা নির্ধারিত হয়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭০ হাজার ৩৩৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬১ হাজার ৫৮৬ এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৫১ হাজার ২৬৩ টাকা নির্ধারিত হয়। এ দামেই বর্তমানে বাংলাদেশে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর পর গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের বড় দরপতন হয়। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮২৬ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা কমে নামে ১ হাজার ৭৮৮ ডলারে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৩৮ বা ২ দশমিক ১১ শতাংশ।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হবে কি না-ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা স্বর্ণের দাম পুনর্নির্ধারণ করার কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। সুতরাং আপাতত দেশের বাজারে দাম কমানো-বাড়ানো হচ্ছে না।
Advertisement
এমএএস/এমকেআর/এএসএম