যুক্তরাষ্ট্রে নাইন/ইলেভেনের ভয়াবহ হামলা যারা চালিয়েছিল, তাদের তালিকায় সবার আগে নাম আসে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের। ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডো বাহিনীর অভিযানে নিহত হন বিন লাদেন।
Advertisement
নাইন/ইলেভেনের ওই হামলার জন্য বিন লাদেনের পরেই দায়ী করা হয় খালিদ শেখ মোহাম্মদকে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘৯/১১ কমিশন’ ও গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের বক্তব্য হচ্ছে, খালিদই ছিলেন হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’। তিনিই বিন লাদেনকে হামলা চালাতে রাজি করান।
কথিত মাস্টারমাইন্ড খালিদ শেখ মোহাম্মদকে আরও চারজনসহ করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর পর প্রথমবারের মতো চলতি সপ্তাহে গুয়ানতানামো বে-র একটি সামরিক আদালতে হাজির করা হয়। ৫৭ বছর বয়সী খালিদসহ পাঁচজনকে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নিরাপত্তায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। ২০০৩ সালে পাকিস্তান থেকে খালিদ শেখ মোহাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০০৬ সালে কিউবায় যুক্তরাষ্ট্রের নৌঘাঁটি এলাকার গুয়ানতানামো বে কারাগারে নেওয়া হয় তাকে। গ্রেফতারের পর অন্য আসামিদেরও সেখানে নেওয়া হয়।
খালিদ ছাড়া অন্য অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন মুস্তাফা আল হাওসাভি, ওয়ালিদ বিন আত্তাশ, রামজি বিন আল-শিভ, এবিডি আল আজিজ আলী। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, যুদ্ধবিধি ভঙ্গ ও হত্যা এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে, যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এই পাঁচ অভিযুক্তকে ১১ সেপ্টেম্বর হামলার জন্য দায়ী করা হয় যাদের কারণে দুই হাজার ৯৭৬ জনের প্রাণ গেছে। আহত হন ছয় হাজার মানুষ।
Advertisement
সামরিক আদালতের এ মামলা পরিচালনার জন্য বিচারক কর্নেল ম্যাথিউ এন ম্যাককল দায়িত্ব পেয়েছেন গত ২০ আগস্ট। ২০২২ সালে বিচারকাজ শুরু হওয়ার কথা। তবে নানাবিধ কারণে আরও পিছিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০০৮ সালে মামলা শুরু হওয়ার পর কথিত মূল পরিকল্পনাকারী খালিদ শেখ মোহাম্মদের আইনজীবী হিসেবে ডেভিড নেভিন যুক্ত আছেন।
বিচারকাজ শেষ হতে এতো সময় লাগছে কেন, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলার নতুন বিচারক নিয়োগ হয়েছে। নতুন বিচারককে আগের শুনানির ৩৫ হাজার পাতার বিবরণ পড়তে হবে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ফৌজদারি অপরাধের সবচেয়ে বড় বিচার এটি এবং আলোচিতও বটে।
সূত্র: আল জাজিরা
Advertisement
এসএনআর/এএসএম