টাঙ্গাইলের সখীপুরে ১৪৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৯টিতে নেই দপ্তরি। ফলে বিদ্যালয় খেলার ঘোষণায় প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরাই নেমেছেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায়। সবকিছু ঠিক থাকলে করোনায় বন্ধ থাকার ৫৪৩ দিন পর রোববার সকাল থেকে ক্লাস শুরু হবে।
Advertisement
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারি ঘোষণার পর থেকে উপজেলার ৫০ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৭ মাদরাসা, কারিগরিসহ ১০ কলেজ ও ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের চাম্বলতলা, বেলতলী ধলীপাড়া, দেবলচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করছেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেফালী আক্তার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে নেই দপ্তরি। এ কারণে আমরা নিজেরাই বালতিতে পানি নিয়ে বেঞ্চ পরিষ্কার করছি। শ্রেণিকক্ষ আর আঙিনা ঝাড়– দিয়েছি। এরপরও ঝোপঝাড় পরিষ্কারের জন্য নেওয়া হয়েছে দুই শ্রমিক।
Advertisement
চাম্বলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিনা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লকের (শৌচাগারে) কাজ চলছে। করোনার কারণে এক বছর ধরে ঠিকাদার কাজ করছে না। বিদ্যালয়ে দপ্তরি না থাকাসহ শৌচাগার নিয়ে চরম সমস্যায় পরবেন তারা।
সখীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বলেন, উপজেলার দপ্তরিহীন পরিচালিত ৭৯ বিদ্যালয়ে দ্রুত দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুত রাখতে সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী না থাকার বিষয়টিও জানানো হয়েছে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দপ্তরি নেই, তাদের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
আরিফ উর রহমান টগর/আরএইচ/এএসএম
Advertisement