রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ূন আহমেদকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার দুপুরে নগরীর বিনোদপুর থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর আটক হুমায়ূনকে নিয়ে কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালায় ডিবি। ডিবি পুলিশের দাবি, হুমায়ূনের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন নাশকতায় ইন্ধন দেয়ার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের কাছে। অধ্যাপক শফিউল হত্যায় তার যোগসূত্র আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি পূর্ব) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম জানান, আটক অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার আগে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এর আগে শনিবার রাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হাসিব ও দিপু নামে দুজন প্রত্যক্ষদর্শীকে আটক করা হয়। তাদের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, হাসিব ও দিপুকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে তারা কী তথ্য জানিয়েছেন বা তাদের পরিচয় সম্পর্কে এখনি তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। এদিকে অধ্যাপক শফিউল হত্যার ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওসি আলমীর হোসেন এ প্রসঙ্গে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতিহার থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা হলে হাসিব, দিপু ও হুমায়ূনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতে পারে। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ধারে পুলিশি তৎপরতা চলছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার বিকেলে ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফেরার পথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফিউল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
Advertisement