দেশজুড়ে

ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা

নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় নির্বাচনী প্রচারণা ততই জমে উঠছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনের সংখ্যা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের প্রার্থীদের ব্যানার ফেস্টুন লিখতে আর্ট শিল্পীরা দিনরাত পরিশ্রম করে চলছেন। প্রার্থীদের চাহিদা পূরণ করতে ইতোমধ্যেই নতুন কিছু মৌসুমী শিল্পী অতিরিক্ত আয়মূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বতি করেছেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক তাহমিনা আক্তার মোল্লা, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়মী লীগের উপদেষ্টা সদস্য এস এম সোলায়মান আলী সরকার, বিএনপির প্রার্থী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুল আলম।এদিকে, নির্বাচনকে সামনে রেখে পাড়া-মহল্লা, অলি-গলি, আনাচে-কানাচে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। এতে করে পুরো নির্বাচনী এলাকা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সুযোগ বুঝে মহল্লায় মহল্লায় কিছু স্বল্প আয়ের মানুষ পসরা সাজিয়ে বসেছে পিঠা, চা, চটপটির অসংখ্য দোকান।সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থীরা বাসায় বাসায় মানুষের কাছে গেয়ে দোয়া নিচ্ছেন। কেউ কেউ প্রার্থীদের জড়িয়ে আবেগে কেদেঁ ফেলছেন। সব কিছু মিলিয়ে চলছে ভোটের আনন্দ, দুঃখ ভাগাভাগি। ঠাকুরগাঁও পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাহমিনা আক্তার মোল্লা জানান, ঠাকুরগাঁও পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা গড়ে তোলার জন্য আমি আমার প্রাণপণ চেষ্টা করবো। শুধু আপনাদের কাছে দোয়া ও একটি ভোট নৌকায় আশা করছি। আপনারা এগিয়ে আসলে আমি এ শহরকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলবো।  অপরদিকে, পৌরসভা বিএনপির প্রার্থী মির্জা ফয়সল আমিন জানান, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য বিএনপি ছাড়া কোনো গতি নেই। তাই শহরকে মডেল হিসাবে গড়ে তোলার জন্য ধানের শীষ মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় চারজন মেয়র, ১২টি ওয়ার্ডে ৫৩ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত ৪টি ওয়ার্ডে ১৬ জন সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী।রবিউল এহসান রিপন/এআরএ/পিআর

Advertisement