ম্যাচ শুরুর আগেই হঠাৎ ধরা পড়েছে মেসির কিডনিতে পাথর। সুতরাং, খেলতে পারবেন না তিনি। ইনজুরির কারণে আগে থেকেই ছিলেন না নেইমার ডি সিলভা জুনিয়র। বিশ্ব ক্লাব কাপের সেমিফাইনালে তবে কি লুই ফেলিপে স্কলারির গুয়াঙজু এভারগ্রান্ডের কাছে হোঁচট খেয়ে যাবে বার্সেলোনা! কিন্তু না, সে অঘটন আর হতে দিলেন না এমএসএনের- এস, অথ্যাৎ, লুইস সুয়ারেজ। উরুগুইয়ান এই সুপার স্টারের দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন চীনা ক্লাব গুয়াংজু এভারগ্রান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্ব ক্লাব কাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠে গেলো বার্সেলোনা। ফাইনালে আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভারপ্লেটের মুখোমুখি হচ্ছে উয়েফা চ্যম্পিয়ন্সলিগ চ্যাম্পিয়ন স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ইয়োকাহামার ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল। মেসি-নেইমারকে ছাড়া একাদশ গঠন করতে গিয়ে বেশ চিন্তাতেই পড়তে হয়েছিল বার্সা কোচ লুই এনরিকেকে। শেষ পর্যন্ত মুনির এল হাদ্দাদি আর সার্জি রবার্তোকে সেরা একাদশে রেখে দল গঠন করেন বার্সা কোচ। মেসি-নেইমার না থাকলেও, ম্যাচের শুরু থেকেই প্রবল প্রতাপে খেলা শুরু করে বার্সা। তবে গোলের দেখা পায় এসে ৩৯তম মিনিটে। জর্দি আলবার পাস থেকে বল পেয়ে ইভান র্যাকিটিক ডান পায়ের দারুন এক শট নেন ইভান র্যা কিটিক। তবে গুয়াঙজুর গোলরক্ষক সেটি ঠেকিয়ে দেন। ফিরতি বলে বাম পায়ের দারুন এক শট নেন সুয়ারেজ। সেটিই জড়িয়ে যায় চীনা ক্লাবটির জালে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার একটু পরই, খেলার ৫০ মিনিটে আবারও বার্সেলোনার গোল। এবারও গোলদাতা সুয়ারেজ। আন্দ্রে ইনিয়েস্তার কাছ থেকে বল পান সুয়ারেজ। বক্সের মাঝামাঝি অবস্থান থেকে ডান পায়ের শট নেন উরুগুইয়ান এই স্ট্রাইকার। ২-০ গোলে এগিয়ে গেলো বার্সেলোনা। ৬৭ মিনিটে আবারও গোল। এবার এলো পেনাল্টি থেকে। মুনির এল হাদ্দাদিক বক্সের ভেতর ফাউল করেন হুয়াঙ বুযেন। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক নিতে আসেন সুয়ারেজ। ডান পায়ের শটটি সহজেই জড়িয়ে দিলেন গুয়াঙজুর জালে। হয়ে গেলো হ্যাটট্রিক। মেসি-নেইমারের না থাকাকে একাই ভূলিয়ে দিলেন তিনি। আইএইচএস/পিআর
Advertisement