জাতীয়

স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন ৩৭.৪ শতাংশ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি

দেশে দরিদ্র এবং অতি দরিদ্রতার মধ্যে বসবাস করেও ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকেন বলে একটি গবেষণায় দেখা গেছে। দেশের সাত বিভাগের ৫৫  জেলায় ছয় হাজার ৩২৯ জনের উপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।   জরিপটি চালানো হয় ৬০ বছরের উপরের বয়োজ্যেষ্ঠদের ওপর। যাতে রয়েছে ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ মহিলা এবং ২৪ দশমিক ১ শতাংশ শহরে লোক। ইউনাইটেড নেশনস্ পপুলেশন ফান্ডের  (ইউএনএফপিএ) সহযোগিতায় এ গবেষণাটি পরিচালনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত সেমিনারে গবেষণার ফলাফল পর্যলোচনা করা হয়। ‘বাংলাদেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠী নিয়ে স্টাডি’ শীর্ষক সেমিনারটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ইউএনএফপিএ’র ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ আইওরি কাতো। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষক নুসরাত জাফরিন। গবেষণায় জানা গেছে, দারিদ্র এবং অতি দরিদ্র্তার মধ্যে বাস করেও দেশের ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকেন। ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ বয়োজ্যেষ্ঠ লোক তাদের অসুস্থতার জন্য কয়েক প্রকারের চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। আর ৮০ শতাংশই চিকিৎসা নিয়ে থাকে ফার্মেসী থেকে। গবেষণায় দেখা যায়, ৬৪ দশমিক ৫ শতাংশ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নিয়মিত পর্যাপ্ত খাবার নিয়ে থাকেন। এছাড়া ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবীণ লোক নিয়মিত প্রিয় খাবার গ্রহণ করেন। আর ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বয়োজ্যেষ্ঠ তাদের পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ করতে পারেন না। আর যারা একাকিত্বভাবে বাস করেন না তাদের বেশীর ভাগেরই খাবর, অর্থনৈতিক সহযোগীতা এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উৎস হচ্ছে তাদের সন্তানরা। আর ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ বয়োজেষ্ঠ্য ব্যক্তি তাদের উত্তরাধিকারীদের আয়ের উৎসের সঙ্গে জড়িত। গবেষণায় দেখা যায়, ৬১ দশমিক ২ শতাংশ লোক বিষণ্নতা অনুভব করে থাকেন, যাদের অধিকাংশই- ৮০ ঊর্ধ্ব বয়সের, মহিলা এবং অনুন্নত এলাকার লোক। দরিদ্রতাও এদের বিষণ্নতার প্রতিরূপ। তাই বিষণ্ণতার সময় এদের বেশীর ভাগই মানসিক সাপোর্ট পেয়ে থাকেন তাদের স্বামী-স্ত্রীদের কাছ থেকে। এছাড়া যারা, একাকীত্বভাবে বসবাস করেন তারা মানসিক সাপোর্টের পেয়ে থাকেন নিজেদের কন্যাদের কাছ থেকে। সর্বপোরি, ৮০ দশমিক ৩ শতাংশ বয়োজ্যেষ্ঠ তাদের অবসর সময় উপভোগ করতে জানেন।সেমিনারটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও কর্মকর্তা, জনসংখ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং বিভাগীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এমএইচ/এএইচ/পিআর

Advertisement