দু’দিন আগেও সাধারণ কাপড় পড়ে মানুষ বাইরে বের হতো। তবে এখন শীতের কাপড় অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ছে। বুধবার থেকে হঠাৎ করে রাজধানীসহ সারাদেশে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কদর বেড়েছে গরম কাপড়ের।আর তাইতো নগরীর বড় বড় শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাত পর্যন্ত সর্বত্র গরমের কাপড় দোকানে ক্রেতার ভিড় ক্রমশই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় গুলিস্তান এলাকায় ডিএসসিসির কয়েকজন কর্মচারী গাড়িতে করে মাইকে ফুটপাতমুক্ত করতে নির্দেশনামূলক প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। তাদের প্রচারণার ভাষা ছিল- ‘ভাইসব, একটি বিশেষ ঘোষণা। কেউ ফুটপাথের জায়গা দখল করে দোকান বসাবেন না। ফুটপাথ দিয়ে মানুষকে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে দিন। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’যে মুহূর্তে ডিএসসিসি কর্মচারীরা প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তখন গুলিস্তান এলাকার চারপাশে ফুটপাতজুড়ে অসংখ্য পোশাক ও পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকার। তারা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ‘বাইচ্ছা লন, দেইখ্যা লন, সস্তায় কিনেন, বস্তায় ভরেন’ ইত্যাদি কোরাস সুরে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছিলেন। ক্রেতারাও বেছে দেখে পোশাক ও পণ্য কিনছিলেন।গত বছরের চেয়ে এবার শীত বেশি পড়বে এমন আগাম খবরে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের গরমের কাপড় মজুদ করে রাখলেও এতদিন শীত না পড়ায় তারা কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু গত দু’দিন যাবত তাদের সকলেরই বিক্রি খুব ভাল হচ্ছে বলে জানা গেছে।জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক বুধবার সরেজমিন মতিঝিল, গুলিস্তান, দিলকুশা, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বঙ্গবাজার, পুরানা পল্টন ও নিউমার্কেটের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখেছেন, সামর্থ অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ গরমের কাপড় কিনছেন। ফুটপাতে সর্বনিম্ন ১০০ টাকার গরম কাপড় থেকে শুরু করে পাঁচ থেকে বিশ হাজার টাকা দামের গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। তারিকুল ইসলাম নামে বঙ্গবাজার মার্কেটের এক দোকানদার জানান, গত দু’দিন ধরে বেচা-বিক্রি বেশ ভাল। ক্রেতাদের মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষই বেশি। লালবাগের বাসিন্দা ক্ষুদে ব্যবসায়ী আজগর আলী জানান, অনেক দামাদামি করে ৪শ’ টাকায় দশ বছরের ছেলের জন্য একটি জ্যাকেট কিনেছেন। ছেলেটি কালো রংয়ের জ্যাকেটের জন্য বেশ কিছুদিন ধরে বায়না ধরছিল। গত বছর একই জ্যাকেট ৩শ’ টাকায় কিনেছিলেন বলেও জানান তিনি। শনির আখড়া এলাকার গৃহবধূ লাভলী আক্তার অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করে তার সাত বছরের মেয়ের জন্য ৬শ’ টাকায় তিনটি জিন্সের প্যান্ট কিনেছেন। তিনি জানান, গরিব মানুষের জন্য বঙ্গবাজারেই কিছুটা সস্তায় কাপড় মেলে। নয়াপল্টনে জোনাকি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে চীন, থাইল্যান্ড ও ভারতের বিভিন্ন গরমের কাপড়ে ছেয়ে গেছে। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে গরম কাপড় কিনছেন। তবে এখানে দাম অপেক্ষাকৃত বেশি বলে জানান ক্রেতারা। এমইউ/এসএইচএস/এএইচ/পিআর
Advertisement