আন্তর্জাতিক

স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে মালয়েশিয়া

করোনাভাইরাস রোধে গত ১ জুন থেকে টানা লকডাউনে মালয়েশিয়ার জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসে। দেশটির অর্থনীতিও তলানিতে পৌঁছেছে। কাজ হারিয়ে মানুষজন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ অবস্থায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে লকডাউনসহ সব ধরনের বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে শিথিল করা হচ্ছে।

Advertisement

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে রাজধানী কুয়ালালামপুর, সেলেঙ্গর ও প্রশাসনিক এলাকা পুত্রজায়া থেকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরী ইয়াকুব লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি ব্যবস্থাপনার বিশেষ কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য রাজ্যগুলোকে ধাপ ১-এর আওতায় আনা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবস্থাপনা কমিটি একটি সাধারণ সংক্রমণ এলাকা হিসেবে সেলাঙ্গোর, কুয়ালালামপুর ও পুত্রজায়াকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের মধ্যে স্বাভাবিক চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং বাইরে বের হতে পুলিশের কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। যেসব স্থানে রোডব্লক রয়েছে ওই জায়গাগুলো থেকে তা সরিয়ে নেওয়া হবে। দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন দম্পতিরা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে পারবেন।

Advertisement

খেলাধুলা, বিনোদন কেন্দ্র, রেস্তোরাঁ, বাণিজ্য ও বিতরণখাতের ব্যাপারে ইসমাইল সাবরি বলেন, প্রথম পর্বের অধীনে রাজ্যগুলোতে আগামীকাল থেকে ফুল বিক্রেতাদের দোকান, নার্সারি, বহিরাঙ্গন সরঞ্জামের দোকান এবং হাউজিং গ্যালারিগুলো পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে।

এ সমস্ত সুবিধা তাদেরই দেওয়া হচ্ছে- যারা দুই ডোজ টিকা সম্পন্ন করে ১৪ দিন পার করেছেন। মালয়েশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে সরকার ধাপ-১, ধাপ-২ ও ধাপ-৩ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ধাপে ধাপে এগুলো বাস্তবায়ন করে মালয়েশিয়া স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে।

এমএসএম/জেআইএম

Advertisement