দেশে চলছে করোনাভাইরাসের গণটিকা কার্যক্রম। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর মগবাজার নয়াটোলা শিশুপার্ক সংলগ্ন নগর মাতৃসদন কেন্দ্রেও দেওয়া হয় টিকা। তবে এ কেন্দ্রে টিকা নিতে মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ফলে উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। অনেকে আবার মাস্ক না পরেই টিকা দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
Advertisement
সরজমিনে দেখা যায়, মানুষ টিকা নিতে ভোট দেওয়ার মতো লাইনে দাঁড়িয়েছেন। তবে নারী-পুরুষের লাইন ছিল আলাদা। রোদ ও প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
টিকা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে অনেক বড় এরিয়া। জনসংখ্যা বেশি। যে কারণে টিকা নিতে ভোর থেকেই সিরিয়াল দিতে হয়। তা না হলে পড়তে হয় লম্বা লাইনে।
তবে তারা জানান, এখানে টিকার ঘাটতি কম। বিশৃঙ্খলাও নেই। হয়রানি ছাড়াই টিকা দেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
অন্যদিকে টিকাকেন্দ্রে মানুষের ভিড়ে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। অনেকে মাস্ক না পরেই টিকা দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। মুখে মাস্ক নেই, তা নিয়ে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি।
টিকা দিতে সমস্যা হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে মধুবাগের বাসিন্দা বেসরকারি অফিসের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, আমি অফিসের কাছে টিকা দিয়েছি। গত ৯ জুলাই স্ত্রী ও আমি এক সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। আমার দুই ডোজ দেওয়া শেষ হয়েছে। তবে স্ত্রী আজ প্রথম ডোজ দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছে। এসএমএস আসতে দেরি হয়েছে। আমরা নিয়মিত দেখি সকাল থেকে অনেক লম্বা লাইন হলেও টিকা নিতে কোনো সমস্যা হয় না। লাইন যতোই লম্বা হোক না কেন খুব বেশি সমস্যা হয় না।
গত ৭ আগস্ট থেকে দেশের মহানগর, গ্রামগঞ্জ ও সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে তৃণমূলের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি চলছে।
ঢাকায় এই বিশেষ টিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় অন্যান্য সরকারি কেন্দ্রের পাশাপাশি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৩৩টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম।
Advertisement
মগবাজারের নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে দেখা গেছে, টিকাদান কার্যক্রমে সরকারের স্বাস্থ্যকর্মীসহ বিভিন্ন বেসরকারি পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করেছেন। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটির নেতাকর্মীরাও সহায়তা করেছেন।
দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়। সরকার ঘোষিত দিন থেকেই দেওয়া হচ্ছে টিকা। প্রথম কয়েকদিন ৬, সাড়ে ৬ থেকে ৭শ’ লোককে প্রতিদিন টিকা দেওয়া হতো। এখন ৫ থেকে সাড়ে ৫ এমনকি ৬শ’ লোককে টিকা দেওয়া হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশন করার পরে যাদের সব কাগজপত্র ঠিক আছে এবং শারীরিক কোনো অসুস্থতা নেই তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, এ কেন্দ্রে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চালু থাকে। বনশ্রী, রামপুরা, মালিবাগ, মধুবাগ, মীরবাগ, মগবাজার ওয়ারলেস এবং দিলুরোডসহ আরও অনেক এলাকা থেকে এখানে টিকা দিতে মানুষ আসে।
এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম