যে ১৫ জনকে দিয়ে সাজানো বাংলাদেশের স্কোয়াড, তাদের ৯ জনই প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। সেই বিশ্বমঞ্চে ওঠার নতুন বহরের একজন শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
Advertisement
শামীমের অবশ্য বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে, তবে সেটা বড়দের নয়, যুব বিশ্বকাপ। শুধু অভিজ্ঞতাই নয়, ওই বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন চাঁদপুরের ছেলে শামীম।
এবার ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার পালা। কেমন লাগছে জাতীয় দলের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়ে? শামীম বলেন, ‘যখন নাইনটিন বিশ্বকাপ (অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ) খেলি, তখন জাতীয় দল অত মাথায় ছিল না। খেলাতেই ফোকাস ছিল। আর চিন্তা ছিল, যত তাড়াতাড়ি জাতীয় দলে আসা যায়। এখন আল্লাহর রহমতে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি, অনেক আনন্দিত আমি।’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে কেবল তিনিই যুববিশ্বকাপজয়ী সদস্য নন, আছেন আরেকজন। তিনি বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। ওই বিশ্বকাপের বন্ধুর সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জায়গা পাওয়াটা অন্যরকম ভালোলাগার শামীমের কাছে।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দুইজন সদস্য আছি, শরিফুল এবং আমি। এটা অনেক আনন্দের বিষয়। আশা করি, আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থেকে আরও ক্রিকেটার জাতীয় দলে আসবে।’
যুবদলের সাথে জাতীয় দলের খেলার পার্থক্যটা খুব ভালো বোঝা হয়ে গেছে শামীমের। তার উপলব্ধি, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ দল আর জাতীয় দলের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আমরা যখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলি, তখন প্রতিপক্ষের বোলাররা ১৩৫-এর আশেপাশে বোলিং করে। জাতীয় দলে বেশিরভাগ সময় ১৪০ থেকে ১৪৫ গতির বল খেলতে হয়। আবার ১৫০-ও খেলতে হয়। এখানে অনেক পরিবর্তন থাকে। সবকিছুই পরিবর্তন হয়। সমর্থক, ভক্ত-ফ্যান সবকিছুই অনেক ভিন্ন মনে হয়।’
শামীমের আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর টিম বাংলাদেশ তিনটি সিরিজ খেলেছে। তিন সিরিজেই জিতেছে টাইগাররা। টিম স্পিরিটটাই এমন সাফল্যের মূল কারণ, মনে করেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ।
তিনি বলেন, ‘আমরা জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড-শেষ তিনটি সিরিজে অনেক ভালো করেছি। তিনটি সিরিজেই জেতার কারণ টিম স্পিরিট ভালো ছিল, সবার মধ্যে বন্ধনও ভালো। আমরা কেউ হাল ছাড়তে চাইনি। একটি দলের মধ্যে টিম স্পিরিটটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
Advertisement
নিজে ভালো ফিল্ডার। হয়তো এ মুহূর্তে দেশের অন্যতম সেরা। তার অন্তর্ভুক্তিতে ফিল্ডিংটা সমৃদ্ধ হয়েছে। ফিল্ডিংকে দলীয় সাফল্যের অন্যতম ক্ষেত্র বলে মনে করেন শামীম। তার ভাষায়, ‘একটা দলের মূল জায়গা হলো ফিল্ডিং। আর ফিল্ডিং যদি আমরা ভালো করি, যে কোনো দলকেই হারিয়ে দেওয়া যায়।’
বিশ্বকাপে বড় বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে পারবেন, এটা ভেবেই ভীষণ রোমাঞ্চ অনুভব করছেন শামীম, ‘বিশ্বকাপে অন্যান্য দলে খেলবে বড় বড় খেলোয়াড়, তাদের সঙ্গে খেলব। ওদের সাথে খেলটা আমার জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ হবে।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম