দেশজুড়ে

সরকারি রাস্তায় প্রাচীর: এবার অভিযোগকারীদের নামে মামলা

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের কিছমত জামুয়া গ্রামের সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখে প্রাচীর তুলে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় আসমা বেগমের বিরুদ্ধে। তিনি প্রতিবেশীদের নামে বাড়ির দেয়াল ও গোয়ালঘর ভাঙচুর করে ক্ষতি সাধনের অভিযোগে ১১ জনকে আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলাটি করা হয়।

Advertisement

মামলার আসামি আব্দুল খালেক বলেন, রাস্তা দখলকারী আসমা বেগম উল্টো আমাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা করেছেন। পাকা রাস্তায় প্রাচীর বন্ধে আমাদের লিখিত অভিযোগ পেয়েই শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোরেলগঞ্জ ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম, বলইবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই প্রাচীর অপসারণ করে রাস্তাটি জনগণের জন্য উন্মক্ত করে দেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আসমা আমাদের নামে মামলা করেছেন। আমরা মামলার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর আসমা বেগম, হাবিবুর রহমান এবং ওমর আলীর বিরুদ্ধে রাস্তা আটকে প্রাচীর নির্মাণের লিখিত অভিযোগ পাই। ওইদিন বিকেলেই ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার প্রাচীর অপসারণ করে ওই রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কেউ সংক্ষুব্ধ হতে পারেন।

চলতি বছরের ৩০ মার্চ কিছমত জামুয়া গ্রামের সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখের জমির কিছু অংশ নিজেদের দাবি করে টিনের বেড়া দিয়ে পথ আটকে দেন হাবিবুর রহমান ও আসমা বেগম গং। পরে স্থানীয় বলইবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজেই ওই রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করেন।

Advertisement

এ ঘটনার পাঁচ মাস পর ৩১ আগস্ট রাতের আঁধারে পাকা রাস্তার প্রবেশমুখে ফের ইট দিয়ে প্রাচীর তৈরি করে জনগণের চলাচল বন্ধ করে দেন হাবিবুর রহমান, তার ভাই ওমর আলী ও বোন আসমা বেগম। এ ঘটনায় স্থানীয় আব্দুল খালেকসহ একাধিক ব্যক্তি ৪ সেপ্টেম্বর লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন। পরে ওইদিন বিকেলেই রাস্তার প্রাচীর অপসারণ করেন ইউএনও।

মোরেলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) তুহিন মণ্ডল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শওকত আলী বাবু/এসআর/জেআইএম

Advertisement