বৃহস্পতিবার দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টা। গুলিস্তানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবনের বিপরীতের রাস্তায় বেশ কিছু মানুষের জটলা। উপস্থিত লোকজনের প্রত্যেককে বালতি, মগ, বাটি, প্লাস্টিকের খালি বোতল, পলিথিন নিয়ে রাস্তা ও ফুটপাত থেকে তেলজাতীয় কিছু সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
Advertisement
জটলার সামনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে স্থাপিত ট্রান্সফরমার থেকে তেল ঝরে পড়ছে। ঝরে পড়া কালো রঙের তেল সংগ্রহে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সবাই।
মধ্যবয়সী রিকশাচালক হাশেম আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের এ তেল বাতের ব্যথা ও যে কোনো ধরনের চুলকানি রোগে খুব ভালো কাজ করে।’
মুরুব্বিদের মুখে এ তেলের উপকারিতার কথা শুনেছেন এবং তিনি নিজে ব্যবহার করে উপকারও পেয়েছেন বলে দাবি করেন।
Advertisement
গুলিস্তানের ফুটপাতের হকার টিটু মিয়া বলেন, আমার বৃদ্ধ মায়ের জন্য তেল সংগ্রহ করছি। এক বোতল তেল কিনতে ১০০ টাকার বেশি লাগে। বাথ ও চুলকানির খুবই ভালো ওষুধ এ তেল।
রাজধানীর মুগদার বাসিন্দা হারিস মোহাম্মদ মোটরসাইকেল থামিয়ে তেল সংগ্রহ করছিলেন।
তিনি বেশ কিছুদিন আগে মোটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্ট করে হাঁটুতে ব্যথা পান। পরিচিত একজনের পরামর্শে এ তেল সংগ্রহ করে ব্যবহারে ব্যথায় ভালো উপকার পেয়েছেন বলে দাবি করেন।
এরই মাঝে সেখানে আরও মানুষের ভিড় বাড়তে দেখা যায়।
Advertisement
এ তেল ব্যবহারের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না তা কেউই বলতে পারেননি।
এমইউ/এমএইচআর/জেআইএম