ফাস্ট বোলারদের একচেটিয়া আধিপত্যের মধ্যেও সেই ষাটের দশক থেকে শুরু করে নব্বই দশক পার করে এখন পর্যন্ত ক্রিকেটে লেগস্পিনারদের একটি বিশেষ জায়গা রয়েছে। সব দলই ম্যাচ জিততে, খেলার চালচিত্র বদলাতে একজন করে লেগস্পিন গুগলি বোলারকে দলে রাখে। টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিয়মিতই লেগির দেখা মেলে।
Advertisement
বিশ্বের প্রায় সব দলের একাদশে লেগস্পিনাররা আছেন বড় জায়গাজুড়ে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তানের লেগিরা রীতিমতো ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে ওস্তাদ। কিন্তু বাংলাদেশ দলে নেই কোনো লেগস্পিনার।
অথচ বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠলে বাংলাদেশের গ্রুপে যাদের সামলাতে হবে সেই তিন দল ভারত, পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের একাদশে লেগস্পিনার থাকা নিশ্চিত। সেখানে বাংলাদেশ দলে মানে ১৫ জনের স্কোয়াডে নেই কোন লেগি।
তবে আছেন দুজন বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান আর নাসুম আহমেদ। আর আছেন অফস্পিনার শেখ মাহদি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও হাত ঘোরান প্রায় ম্যাচে।
Advertisement
কিন্তু চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজের ১৯ জনের ভেতরে থাকা লেগি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জায়গা পাননি ১৫ জনের বিশ্বকাপ দলে। তবে তাকে রিজার্ভে রেখে নিয়ে যাওয়া হবে ওমান ও আরব আমিরাতে।
বিপ্লবকে কি মূল দলে রাখা যেতো না। প্রায় দলেই একজন করে লেগস্পিনার আছেন। অনেক দলের স্পিন আক্রমণের মূল শক্তিই লেগ স্পিন। অথচ বাংলাদেশ দলে নেই কোন লেগস্পিনার। সেটা কেন? বৃহস্পতিবার দল ঘোষণার সময় উঠলো এই প্রশ্ন।
জবাব দিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও অকপটে স্বীকার করেছেন, দলে একজন লেগস্পিনার না থাকাটা দুঃখজনক। প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে আমরা বিপ্লবকে ১৫ জনের দলে রাখতে পারিনি।’
তবে নান্নু জানান, আসলে দলে গঠনশৈলির কারণেই লেগস্পিনারকে রাখা সম্ভব হয়নি। তার ভাষ্য, ‘আসলে খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে বিপ্লবকে ১৫ জনের দলে রাখা যায়নি। আমাদের গেম প্ল্যান ও টিম কম্বিনেশনের কারণেই মূল স্কোয়াডে নিতে পারিনি। তবে আমরা তাকে নিয়ে যাচ্ছি। সে দলের সাথেই থাকবে, ট্রেনিং করবে, নেটে বল করবে।’
Advertisement
এআরবি/এসএএস/এএসএম