জাতীয়

বাংলাদেশে উগ্রবাদের উদ্যোক্তা মওদুদী

‘পৃথিবীতে উগ্রবাদের উদ্যোক্তা মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা কুতুব। আর বাংলাদেশে সিপাহী বিদ্রোহর পর উগ্রবাদের উদ্যোক্তা ও পথিকৃত একজন সাংবাদিক। তিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদী। এর আগে বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো ধারণা ছিল না।’বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দফতরে ওলামা মাশায়েখদের নিয়ে ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের ঈমাম ও জমিয়াতুল উলামাহ এর চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।তিনি বলেন, ইসলামের কথা বলে, কথিত জিহাদের কথায় যারা জঙ্গিবাদী তৎপরতা চালাচ্ছে, মানুষ হত্যা করছে, নির্যাতন চালাচ্ছে। তারা ইসলামের যে ক্ষতি করছেন আবু লাহাবরাও এতো ক্ষতি করেন নি। যারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত কিংবা উদ্বুদ্ধ তারা বিকৃত চেতনার অধিকারী। তারা শহীদ হবে, জান্নাতে তাদের জন্য হুর পরীরা অপেক্ষা করছে এমন বিকৃত ধারণা দেয়া হচ্ছে।আমাকে প্রায়ই শুনতে হয় বাংলাদেশে জঙ্গি বা আইএস আছে কিনা? আমি বলি- না, নেই। তবে যেখানে জামায়াতে ইসলামীর মতো দল আছে সেখানে আইএস লাগে না। আইএস এর চেয়েও বেশি ক্ষতি করে চলেছে জামায়াত।জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে উল্লেখ করে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, জামায়াতের আর্থিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে দেশে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন করা হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক, হাসপাতাল ও কোচিং সেন্টারসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান জনগণের মালিকানায় নিয়ে আসতে হবে।আনসারুল্লাহ বাংলা টিম কিংবা জেএমবি জঙ্গি সংগঠন হলেও এগুলো জামায়াত মদদপুষ্ট এবং জামায়াতের আর্থিক সহযোগিতায় এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াত এখন নতুন নতুন জঙ্গিবাদী সংগঠন গড়ে তুলছে।তিনি বলেন, আর বসে থাকার সময় নেই। যারা ইসলামের নামে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, যারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তাদের দমন ও নির্মূল করার এখনই সময়। ওলামে কেরাম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এদের রুখতে হবে।তিনি আরো বলেন, জঙ্গিবাদের কথা উঠলেই কওমি মাদরাসাসহ সব মাদরাসা বন্ধের কথা শোনা যায়। এটা ঠিক না। মাদরাসা শুধু না এখন সব আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা শোনা যাচ্ছে।ইসলামের সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে জমিয়াতুল উলামাহ এর চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, এখন মসজিদ কমিটিতেও স্বাধীনতাবিরোধী ও ইসলামের শত্রুরা জায়গা করে নিচ্ছে। আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনীর উচিত সে দিকেও নজরদারি বাড়ানো।এসময় উপস্থিত ছিলেন; এডিশনাল আইজিপি, মোখলেছুর রহমান, ড. জাভেদ পাটোয়ারি (এসবি), ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ও শতাধিক ওলামায়ে কেরাম।জেইউ/এসএইচএস/পিআর

Advertisement