একসময় তিনি ছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের রানী। কয়েকবছর আগে তার মাঝে চলচ্চিত্র নির্মাতা-প্রযোজকরা খুঁজে পেতেন আস্থার প্রতীক। বলছি চিত্রনায়িকা শাবনূরের কথা। জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে এই তারকা জানালেন তার রঙিন জীবনের প্রথম কিছু ঘটনা।প্রথম স্কুলআমার জন্ম যশোর জেলায় হলেও সেই ছোট্টকাল থেকেই আমরা ছিলাম ঢাকার বাসিন্দা। সেজন্য আমার প্রথম স্কুল জীবনের শুরু হয় ঢাকাতেই। ঢাকা শাহীন স্কুলে ভর্তির মাধ্যমেই আমার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তখন আমার বয়স খুব বেশি হলে পাঁচ বছর ছিল।প্রথম শিক্ষকআমার মা’ই আমার জীবনের প্রথম শিক্ষক। এখনো মনে আছে আমার হাতের লেখা অনুশীলনের জন্য মা আমাকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে বসাতেন। তাছাড়া স্কুলের পড়াগুলো ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা মা নিয়মিত তদারকি করতেন। মায়ের কছে পড়ালেখার জন্য মাঝেমধ্যে বকাও খেয়েছি আবার আদরও পেয়েছি।প্রথম পড়া উপন্যাস খুব বেশি উপন্যাস পড়া হয়নি আমার। তবে মীর মশাররফ হোসেনের ‘বিষাদ সিন্ধু’ উপন্যাসটি ছিল আমার জীবনে প্রথম পড়া উপন্যাস। সেসময় আমি সেভেনে পড়ি। এছাড়া বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হুমায়ূন আহমেদসহ আরো কয়েকজনের লেখা বই পড়েছি।প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতাআমার প্রথম ছবি ‘চাঁদনী রাতে’ ১৯৯৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এটি পরিচালনায় ছিলেন এহতেশাম। তার সঙ্গে যখন শুটিংস্পটে গিয়েছিলাম স্পষ্ট মনে আছে আমি খুব বেশি লজ্জা পাইনি সবাইকে দেখে। কারণ তখন শুটিং সেটে যারা ছিলেন তারা প্রায় সবাই আমার পূর্ব পরিচিত ছিলেন। অনেক মজা হয়েছিল আমার প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর দিন।প্রথম প্রেম না না না... এটা বলা যাবে না। কোনদিন কাউকে বলিনি আর বলবোও না। (হাহাহা...)প্রথম পারিশ্রমিকএটাও বলতে হবে? নাহ থাক। এটাও নাই বা বললাম! প্রথম বিয়ের প্রস্তাবপ্রথম বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল কবে সেটা ঠিক মনে নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি বিয়ে করেছি এটা জানাজানি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রায় হাজার খানেক বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলাম।কদিন আগে এফডিসিতে একটি ক্রোকারিজ কোম্পানির বিজ্ঞাপনের কাজ করেন শাবনূর। সেখানেই উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘আগামী বছরের শুরু থেকে নিয়মিত কাজ করবেন। কয়েকটি ছবিতে কাজের ব্যাপারে প্রথমিক কথাও হয়েছে। খুব শীঘ্রই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।’ আজ এই চিত্রনায়িকার ৩৬তম জন্মদিন। জাগো নিউজের পক্ষ থেকে শাবনূরের প্রতি রইলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা।এনই/এসইউ/এমএস
Advertisement