দেশজুড়ে

সিরাজগঞ্জে বন্যাদুর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে কমছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা গেজ মিটার (পানির সমতল পরিমাপক) আব্দুল লতিফ জাগো নিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলো থেকে পানি এখনও নামেনি। প্রায় এক লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন। বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগ ও দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা কবলিতদের।

পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জেলার সদর, কাজীপুর, শাহজাদপুর, চৌহালী ও এনায়তপুরে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। তলিয়ে গেছে এসব অঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি। গোচারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। এসব এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি ওঠায় বিপাকে পড়েছেন বন্যাদুর্গতরা। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু রাস্তা এবং স্কুল-মাদরাসার মাঠে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

Advertisement

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জাগো নিউজকে জানান, সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালী উপজেলায় বন্যা কবলিতদের চাল ও নগদ টাকা সাহায্য দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/ এফআরএম/এএসএম