স্ট্রোকের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে অনেক মানুষ মারা যান। স্ট্রোক হওয়ার আগে সবার শরীরেই আগাম কয়েকটি লক্ষণ দেখা দেয়।
Advertisement
যেমন- কথা আটকে যাওয়া, হাঁটতে অসুবিধা হওয়া, মুখ বেঁকে যাওয়া, শরীর অবশ হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
শুধু এগুলোই নয় বরং স্ট্রোক হওয়ার বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেগুলো অজান্তেই রোগীরা এড়িয়ে যান। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে এমনও ঘটে যে অজান্তেই স্ট্রোক হয়। যাকে বলে ‘সাইলেন্ট স্ট্রোক’।
শরীর কোনোভাবেই জানান দেয় না এই স্ট্রোকের বিষয়ে। তাই ধরা কঠিন হয়ে যায়, শরীরে এত বড় একটা সমস্যা ঘটেছে।
Advertisement
সাধারণত শরীরের রক্ত চলাচল কোনো কারণে বাঁধাগ্রস্ত হলে রক্ত মস্তিষ্কে পৌঁছায় না। আর তখনই স্ট্রোক হয়। বুঝতে না পরলেও সাইলেন্ট স্ট্রোক হওয়া শরীরের জেন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর।
মস্তিষ্কের ছোট্ট অংশ নষ্ট হয়ে গেলেও কাজে ব্যাঘাত ঘটে। অনেকগুলো সাইলেন্ট স্ট্রোক একসঙ্গে হয়ে গেলে নিউরোলজিক্যাল সমস্যা শুরু হয়ে যায়। ভ্যাস্কুলার ডিমেনশিয়া নামে এক ধরনের ডিমেনশিয়াও হয়ে যেতে পারে।
এ ধরনের ডিমেনশিয়া হলে চেনা জায়গাও অচেনা লাগে। স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যায়, হাঁটাচলায় বদল আসে, অকারণে হাসি বা কান্না পায়।
সাইলেন্ট স্ট্রোক হওয়ার কারণ
Advertisement
> রক্ত জমাট> উচ্চ রক্তচাপ> আর্টারি সরু হয়ে যাওয়া> কোলেস্টেরল বেশি হয়ে যাওয়া > ডায়াবেটিস
স্ট্রোকের আগাম লক্ষণ
সাধারণত সিটি স্ক্যান বা এমআরআই না করলে বোঝা মুশকিল। তবে কিছু লক্ষণ চোখে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যেমন-
> চলাফেরায় ব্যালান্স করতে অসুবিধা হওয়া> বারবার পড়ে যাওয়া> প্রস্রাবে নিয়ন্ত্রণ হারানো> ঘন ঘন মনের অবস্থা বদলে যাওয়া> চিন্তা-ভাবনা করতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি।
সূত্র: হেলথলাইন
জেএমএস/এএসএম